সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার আটলান্টা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। জানা যায়, গ্রেফতারের সময় যুবককে গুলি করে এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনার জেরে নতুন করে ছড়ায় বিক্ষোভের আঁচ। এই মৃত্যু ফের তুলে ধরল পুলিশের বর্বরতার আচরণ। ফলে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন প্রতিবাদীরা।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ আমেরিকায় দুই সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। ধীরে ধীরে প্রশমিত হয়েছে সেই বিক্ষোভের আঁচ। এরইমধ্যে আটলান্টায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু ধামা চাপা বিক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল। এই হত্যা ফের একবার তুলে ধরল বিশ্বজুড়ে চলা বর্ণবৈষম্যকে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুলিশি বর্বরতার জ্বলন্ত চিত্র। শুক্রবার গভীর রাতে ২৭ বছর বয়সী রেয়শার্ড ব্রুকসকে (Rayshard Brooks) হত্যা করা হয় বলে জানা যায়। সকাল থেকেই সেই স্থান ঘিরে চলে প্রতিবাদ। অবরোধ করা হয় একটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক। ঘটনার জেরে মেয়র কেইশা ল্যান্স বটমস পুলিশ চিফ এরিকা শিল্ডসের (Chief Erika Shields) পদত্যাগের ঘোষণা করেন। কিন্তু ক্রমেই বিক্ষোভের আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। জানা যায়, রেয়শার্ড ব্রুকস গভীর রাতে ওয়েন্ডির একটি ফাস্টফুড রেস্তোঁরার কাছে নিজের গাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। রেস্তোরাঁর কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানায় যে, ব্রুকস এভাবে শুয়ে থাকায় অন্য গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। ফলে তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে ব্রুকস তাদের বাধা দেয়। এরপর এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয় যে, সার্ভিলিয়েন্স ভিডিওতে দেখা গিয়েছে অফিসারদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি চলাকালীন ব্রুকস এক পুলিশকর্মীর বন্দুক কেড়ে নেয় এবং পালাতে চেষ্টা করে। অফিসাররা ব্রুকসকে তাড়া করলে ব্রুকস পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করে। তখনই গুলি চালাতে বাধ্য হন এক পুলিশকর্মী। পরে ব্রুকসকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের পরে তিনি মারা যান। সূত্রের খবর, ঘটনায় একজন পুলিশ কর্তাও আহত হয়েছেন।
তবে ঘটনা যাই হোক না কেন ব্রুকসের মৃত্যু যে ফের বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদকে জাগীয়ে তুলছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের বার বার মারমুখী মনোভাব ও ঔপ্যনিবেশিকতা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি। সেখানে ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় জল যে কতদূর এগোবে তা বোঝা মুশকিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.