Advertisement
Advertisement
Sri Lanka

লক্ষ্য আইনশৃঙ্খলায় উন্নতি, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার শ্রীলঙ্কায়

৬ মে মধ্যরাতে দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি হয় শ্রীলঙ্কায়।

After two weeks Crisis-Hit Sri Lanka Lifts State Of Emergency | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 23, 2022 9:01 am
  • Updated:May 23, 2022 9:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে দুই সপ্তাহ আগে জারি হওয়া জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা (Srilanka) সরকার। এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। গত ৬ মে মধ্যরাত থেকে দেশটিতে দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী অস্থিরতার মধ্যে দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ করা হয়েছে।

অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কায় টালমাটাল শ্রীলঙ্কা সরকার গত মাসেই ঘোষণা করেছিল, বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার এত কমে গিয়েছে যে তাদের পক্ষে আর বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এবার প্রকৃত অর্থেই তারা ঋণ শর্তের খেলাপ করল। ৭০ বছরের ইতিহাসে দ্বীপরাষ্ট্রটি এই প্রথম ঋণখেলাপি হল।ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি, বিদ্যুতের সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুতসংকটে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জেলেনস্কির সঙ্গে প্রেম করছেন পুতিনের মেয়ে! রয়েছে ২ বছরের সন্তানও! ব্যাপারটা কী?]

তুমুল সংকটের জন্য ক্ষমতাসীন রাজাপক্ষে পরিবারকে দায়ী করে গণবিক্ষোভ করছেন দেশটির মানুষ। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছেন। চরম আর্থিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার মানুষ গত মাস থেকে রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছেন। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিক্ষোভ বেড়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: স্কুলবাসের মধ্যেই ১৩৯ জন ছাত্রীর স্কার্টের তলায় ফোন রেখে ছবি তোলার অভিযোগ! গ্রেপ্তার চালক]

উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই জানা গিয়েছিল, মাত্র একদিনের মতো পেট্রল মজুত রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। একথা জানিয়েছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। যা নিয়ে নতুন করে চিন্তিত লঙ্কাবাসীরা। অবস্থা এমন যে দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পেট্রলের অভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে সেদেশের পরিবহন ব্যবস্থা। যার প্রভাব পড়ছে দেশের খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ-সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপরে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement