ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার ভয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব পৃথিবীতে। সংক্রমণের ভয়ে বিশ্ব জুড়ে বন্ধ স্কুল-কলেজ। ফলে পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ভরসা সেই অনলাইন ক্লাস। তবে মারণ ভাইরাসের ভয়ে বিদেশি পড়ুয়াদের দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে দিতে নারাজ আমেরিকা। তাই বাতিল করা হল বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা।
সংক্রমণের পরিসংখ্যানের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। প্রতিদিন যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে লকডাউন তুলে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর চেষ্টায় মরিয়া ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে আক্রান্তের মাত্রা রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, যে পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস করছেন, তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। নয়তো এমন কোনও কোর্সে ভরতি হতে হবে যেখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্লাসে হাজির হওয়া জরুরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রক স্থির করেছে, অনলাইনে ক্লাস করা যায় এমন কোর্সের জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের ভিসা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আগামিদিনে এই ধরনের ছাত্রদের আর ভিসা দেওয়া হবে না। আমেরিকার বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে অনেকদিন আগে থেকেই অনলাইন ক্লাস শুরু করা হয়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে কয়েকটি বিশেষ ক্লাসে পড়ুয়াদের আসতেও বলা হয়েছে। অবশ্য সংক্রমণের জেরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্থির করেছে, তারা প্রতিটি কোর্স অনলাইনেই করাবেন।
ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯-এর শিক্ষাবর্ষে আমেরিকায় ১০ লক্ষ বিদেশি পড়ুয়া এসেছিলেন। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য এ পর্যন্ত যত পড়ুয়া ভরতি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫.৫ শতাংশই বাইরে থেকে এসেছেন। এর ফলে ২০১৮ সালে বিদেশি ছাত্রদের থেকে আমেরিকার আয় হয়েছিল ৪,৪৭০ কোটি ডলার। বিশ্বের অন্য দেশগুলির তুলনায় আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় সবথেকে বেশি আসেন চিনের পড়ুয়ারাই। এছাড়াও ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea), সৌদি আরব এবং কানাডা (Canada) থেকেও বহু ছাত্র আসেন পড়াশোনা করতে।
বেশ কয়েকদিন থেকেই বিদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই এইচ ওয়ান বি (H1B) ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়েছে। আগামিদিনে শুধুমাত্র অতি দক্ষ এবং খুব বেশি বেতনের কর্মীদেরই আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে ভবিষ্যতে যাতে আমেরিকায় কম মাইনের চাকরিতে বিদেশিরা কাজ করতে না পারেন, সেদিকে সতর্ক নজর রাখতেই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান অনেকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.