সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে তুঙ্গে আমেরিকা ও ফ্রান্সের বিবাদ। এবার ‘বন্ধু’ দেশের সঙ্গে টানাপোড়েনে ইতি টেনে ফের সম্পর্কের বরফ গলাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে এবার ওয়াশিংটনে দূত ফেরত পাঠাতে রাজি হয়েছে প্যারিস।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ফোনে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় বাইডেনের। আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পারস্পরিক বিশ্বাস বজায় রাখতে গভীরভাবে আলোচনা করা হবে। অক্টোবর মাসের শেষে ইউরোপে আরও এক প্রস্থ আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, “দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।” প্রেসিডেন্ট বাইডেন আশা করছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বলে রাখা ভাল, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্ত্র রপ্তানিতে শীর্ষে আমেরিকা (America)। বিশ্বে হাতিয়ারের ব্যবসায় প্রায় ৩৭ শতাংশ দেশটির দখলে। ওই তালিকায় মাত্র ৮.২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। তাও প্যারিসের হাত থেকে সাবমেরিনের খদ্দের ‘ছিনিয়ে নিয়েছে’ ওয়াশিংটন। আর এই ঘটনায় দুই ‘বন্ধু’ দেশের মধ্যে তুঙ্গে বিবাদ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে আমেরিকা থেকে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় ফ্রান্স।
সম্প্রতি ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। হাতিয়ারের বাজারে মুনাফা বাড়াতে কয়েকশো কোটি ডলার মূল্যের ওই চুক্তি ফরাসি অস্ত্রনির্মাতাদের কাছে বড়সড় সুযোগ ছিল। কিন্তু গত বুধবার আচমকা ওই চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। কারণ, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশটি। যার ফলে আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক আণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ চলে আসছে অস্ট্রেলিয়ার হাতে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই ফরাসি ডিজেল চালিত সাবমেরিন কিনতে নারাজ দেশটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.