Advertisement
Advertisement

Breaking News

Al Qaeda

লাদেনের পরে খতম জওয়াহিরিও, এবার আল কায়দার মাথায় কে? উঠে আসছে কুখ্যাত জঙ্গির নাম

২০০১ সাল থেকে এফবিআইয়ের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় রয়েছে এই জঙ্গি।

After Ayman al-Zawahiri, expected Saif al-Adel to head Al Qaeda। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 2, 2022 2:38 pm
  • Updated:August 2, 2022 2:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদেনের মৃত্যুর পরে আল কায়দার হাল ধরেছিল আয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman al-Zawahiri)। কিন্তু সোমবার মার্কিন ড্রোন হানায় নিকেশ হয়েছে এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এরপর কে? আল কায়দার (Al Qaeda) সর্বোচ্চ নেতা এবার কে হতে চলেছে? অনেক নামই উঠে আসছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জওয়াহিরির পরে আরও এক মিশরীয়ই সম্ভবত এই দায়িত্ব পাচ্ছে। প্রাক্তন মিশরীয় সেনানায়ক সইফ আল-আদেল। আল কায়দার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এই জঙ্গি নেতাকেই বসানো হতে পারে আল কায়দার মাথায়।

কে এই আদেল? সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গত শতকের আটের দশকে মক্তব আল-খিদমত জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল আদেল। পরে তার সঙ্গে আলাপ হয় লাদেন ও জওয়াহিরির। ২০০১ সাল থেকে এফবিআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ঢুকে পড়ে সেও। লাদেনের নিরাপত্তা ছিল তার উপরে। ১৯৯৩ সাল থেকেই তাকে খুঁজছে আমেরিকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘রাগ ছিল, জুতো মেরে শান্তি পেয়েছি’, ESI হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলা মহিলার]

এই মুহূর্তে আদেল ইরানে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখান থেকেই আল কায়দার দায়িত্ব সামলাচ্ছিল সে। তবে অন্য একটি মত, ইরান নয় সিরিয়ায় রয়েছে এই জঙ্গি নেতা। এক সময় পাকিস্তান, সোমালিয়া, সুদান ঘুরে ঘুরে তরুণ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বেড়াত সে। লাদেনের মৃত্যুর পর থেকেই আল কায়দার অন্যতম মাথা হয়ে উঠেছিল আদেল। এবার দেখার, তাকেই আল কায়দার মাথায় বসানো হয় কিনা।

প্রসঙ্গত, বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই কাবুলের একটি বাড়িতে ড্রোন হামলা চালিয়ে জওয়াহিরিকে (Ayman al-Zawahiri) খতম করা হয়েছে। ৩১ অগস্ট ২০২১-এ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর জঙ্গি নিকেশ করতে এই প্রথম আকাশ পথে অভিযান চালাল আমেরিকা।

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, “প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আমি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছি। আমার মনে হয়েছে সে দেশে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের কোনও কারণ নেই। তবে আমরা আফগানিস্তানে (Afghanistan) সন্ত্রাস দমন অভিযান চালিয়ে যাব এটা ঠিক করাই ছিল। আমেরিকার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে কেউ রেহাই পাবে না।” একথা নিঃসন্দেহে বলাই যায়, জওয়াহিরির মৃত্যুর পরে আল কায়দার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর পরবর্তী কার্যকলাপের দিকেও নজর রাখবে আমেরিকা।

[আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে আগাম সতর্কতা, রোগের জীবাণু খুঁজতে এবার বাড়ি বাড়ি অভিযানে পুরসভা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement