Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ukraine

ইউক্রেনে নিহত AFP-র সাংবাদিক, শোকপ্রকাশ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রোর

ফ্রন্টলাইনে রকেট হামলায় নিহত সাংবাদিক।

AFP Journalist Killed In Eastern Ukraine By Rocket Fire | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 10, 2023 2:30 pm
  • Updated:May 10, 2023 2:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন ফরাসি সংবাদ সংস্থা AFP-র সাংবাদিক আরমান সোলদিন। ফ্রন্টলাইনে রকেট হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাখমুট শহরের কাছে ইউক্রেনীয় সেনার সঙ্গে যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করছিলেন বছর বত্রিশের সাংবাদিক আরমান সোলদিন। বলে রাখা ভাল, পূর্ব-ইউক্রেনে বাখমুট দখল করতে রুশ ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। এদিন ফ্রন্টলাইনের কাছেই একটি ইউক্রেনীয় সেনাদলের সঙ্গে ছিলেন ওই সাংবাদিক। তখনই সেখানে একটি রকেট আছড়ে পড়ে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

Advertisement

সাংবাদিক আরমান সোলদিনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। নিহত সাংবাদিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তারা আরও জানায়, পূর্ব ডোনেৎস্কের চাসিভ য়ার নামের জায়গায় রাশিয়ার মিসাইল হামলায় মৃত্যু হয়েছে সোলদিনের। সংবাদ সংস্থা AFP-র চেয়ারম্যান ফ্যাবরিস ফ্রাইস বলেন, “আরমানের মৃত্যু সংস্থার জন্য বড় ক্ষতি।” বলে রাখা ভাল, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে রক্তাক্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যামও। এই লড়াই এখনও পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে এগারো জন সংবাদকর্মীর।

[আরও পড়ুন: লেখিকাকে ধর্ষণে মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, জরিমানা ৪১০ কোটি]

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) ভাড়াটে সেনা ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনের (Ukraine) বাখমুট শহরে। কিন্তু সেই ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের অভিযোগ, তাঁরা বাখমুট প্রায় দখল করে ফেললেও মস্কোর থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ পাচ্ছেন না। এই মুহূর্তে পূর্ব ইউক্রেনের ওই শহরে ওয়াগনার বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে রুশ (Russia) সেনাও। চলছে জোর লড়াই।

প্রসঙ্গত, দোনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রথান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি দোনবাস রাশিয়ার (Russia) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। পূর্ব দোনবাসে রাশিয়া ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে। কারণ সেনা, কামান, সাঁজোয়া গাড়ি এবং বিমানবাহিনীর শক্তির নিরিখে রাশিয়া অনেকটাই এগিয়ে।

[আরও পড়ুন: গাজায় অগ্নিবৃষ্টি ইজরায়েলি যুদ্ধবিমানের, নিহত তিন জেহাদি কমান্ডার-সহ ১৩]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement