সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”আমরা ওরা মেরে ফেলবেই। আমাদের এক্ষুনি আফগানিস্তান (Afghnaistan) থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।” এমনই কাতর আরজি তাঁদের। তালিবানের দখলে আফগানিস্তান চলে আসার পর থেকেই চরম বিপন্ন অবস্থা এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষরা। যে কোনও সময়েই জেহাদিরা তাঁদের মেরে ফেলবে, এমন আশঙ্কায় কাটছে দিন।
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। শুরুতে তারা দাবি করেছিল, তারা বদলে গিয়েছে। নারীর অধিকার কিংবা সর্বোপরি মানবাধিকার রক্ষা করেই চলবে তারা। যত সময় গিয়েছে তত দাঁত-নখ বের করেছে জেহাদিরা। আর তত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তালিবান আছে তালিবানেই। তাছাড়া সমকামী, রূপান্তরকামী প্রভৃতি অর্থাৎ এককথায় এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় নিয়ে তারা কোনও প্রতিশ্রুতিও দেয়নি। যে কারণে আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে ভয়ংকর আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই সম্প্রদায়ের মানুষরা।
সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে ২৫ বছরের এক এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষ জানাচ্ছেন, ”তালিবান আমার বাড়ি এসে শাসিয়ে গিয়েছে। বলেছে আমি বাড়ি ফিরলেই ওরা আমাকে খুন করবে। হ্য়াঁ, আমরা এলজিবিটি। এটা আমাদের দোষ নয়। ওরা যেটা করতে পারে তা হল আমাদের খুন করা।”
এই মুহূর্তে গোপনে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। ওই যুবক জানাচ্ছেন, কীভাবে খাদ্য ও অন্যান্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেরই ভয়, নতুন তালিবান সরকার আগের আমলের আইন মেনে চলবে। শেষবার ক্ষমতায় থাকার সময় এলজিবিটিকিউদের প্রাণদণ্ডের বিধান দিয়েছিল তালিবান প্রশাসন। আশঙ্কা, এখনও একই পথ ধরেই এগোবে তারা।
এই বিপদ থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চাইছেন এলজিবিটিকিউরা। তাঁদের নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানাচ্ছে, যতদিন না তা হচ্ছে ততদিন তালিবানের রক্তচক্ষু এড়িয়েই লুকিয়ে থাকতে হবে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.