সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসের ছায়ায় শান্তি ফেরানোর চেষ্টা! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হচ্ছে কাতারের রাজধানী দোহায়। আফগানিস্তানে (Afghanistan) শান্তি ফেরাতে ওই শহরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠক থেকে বাদ পড়েছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আফগানিস্তানে হিংসা থামাতে দোহায় তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আমেরিকা, চিন, কাতার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান ও রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরা। আফগান সরকারের পক্ষে ওই আলোচনায় শামিল হয়েছেন কাবুলের মধ্যস্থতাকারী আবদুল্লা আবদুল্লা। রয়েছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ। বলে রাখা ভাল, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকেই দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে। যদিও তাতে কোনও ফল মেলেনি। জানা গিয়েছে, দেশে হিংসা থামানোর জন্য তালিবানের কাছে আবেদন জানাবেন কাবুলের প্রতিনিধিরা। আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান থামানোর জন্য তালিবানের কাছে আরজি জানাবেন জালমে খোলইল্যাদ বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে এই শান্তি আলোচনায় তৃতীয়পক্ষ বা মধ্যস্থতাকারী ‘কনট্যাক্ট গ্রুপ’গুলির সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে আফগান সরকার ও তালিবানের প্রতিনিধি দল। তবে দু’টি বিষয়ে কিছুতেই তাদের মতের মিল না হওয়ায় থমকে গিয়েছে গোটা শান্তি আলোচনা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে গত ছ’দিনে কনট্যাক্ট গ্রুপ’ও কোনও বৈঠক করেনি। যে দুই বিষয়ে এই জট তৈরি হয়েছে তার প্রথমটি হচ্ছে, আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তিকে ভিত্তি হিসেবে পরিচিতি দিয়ে বর্তমান আলোচনা চালাতে হবে আফগান সরকারকে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আলোচনার নীতি নির্ধারণ করতে হবে হানাফি (ইসলামের একটি শাখা) রীতি মেনে।
এদিকে, দোহায় শান্তি আলোচনা থেকে বাদ পড়েছে ভারত। তাছাড়া, কয়েকদিন আগেই আফগান বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল যে আমেরিকা, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা মিলে একটি চতুর্দেশীয় (কোয়াড) কূটনৈতিক মঞ্চ তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। চতুর্ভুজ শক্তির মূল লক্ষ্যই হবে, আঞ্চলিকস্তরে নিবিড় সংযোগ স্থাপন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এই প্রচেষ্টায় ভারতকে বাদ দেওয়া হল কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ওবামা জমানা থেকে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। মার্কিন হাতিয়ার কেনা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রীতিমতো দহরম মহরম মোদি সরকারের। আর এতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার বিরাগভাজনও হতে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। তার পরও বাইডেন প্রশাসন এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভারতকে শরিক করেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.