সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছিল তালিবান (Taliban)। কিন্তু দায় নেয়নি। পাশাপাশি জানিয়েছিল, সাংবাদিকদের উচিত যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আগে জানিয়ে ঢোকা। মুম্বইয়ের চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির (Danish Siddiqui) গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে তারা কিছুই জানত না বলেই সাফাই গেয়েছিল ফের আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নিয়ে ফেলা জঙ্গি গোষ্ঠী। কিন্তু এবার একেবারে ভিন্ন দাবি করলেন আফগান এক সেনা কমান্ডার। জানালেন, দানিশকে কেবল গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি তালিবান জঙ্গিরা। তাঁর মাথাও থেঁতলে দেওয়া হয় গাড়ির চাকায়!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিলাল আহমেদ নামের ওই কমান্ডারের মুখে শোনা গেল এমনই মর্মান্তিক বর্ণনা। তিনি দাবি করেন, ভারতীয় সাংবাদিককে মেরে ফেলেই শান্ত হয়নি তালিবান জঙ্গিরা। তাঁর মৃতদেহের সঙ্গেও নির্মম আচরণ করে তারা। গাড়ির তলায় রেখে থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। কিন্তু কেন? একজন সাংবাদিক হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন দানিশ। তবুও কেন এই নির্মমতার শিকার হতে হল তাঁকে! এর জবাবে ওই কমান্ডারের দাবি, ‘‘কারণ দানিশ ভারতীয়। আর ভারতীয়দের তালিবানরা ঘৃণা করে।’’
পুলিৎজার (Pulitzer Prize) পুরস্কারজয়ী রয়টার্সে কর্মরত ভারতীয় সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির মৃত্যুতে শোকাহত সংবাদ জগৎ। তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে আফগান সেনার সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে তালিবানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওই সাংবাদিকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে তারা কিছুই জানত না। দুঃখপ্রকাশ করে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বলেন, ‘‘আমরা একেবারেই অবগত নই কে ওঁকে গুলি মেরেছে। কী করে উনি মারা গেলেন সেবিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।’’
তবে সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘‘যে কোনও সাংবাদিকেরই উচিত যুদ্ধক্ষেত্রে ঢোকার আগে আমাদের তা জানানো। তাহলে আমরা তাঁর আলাদা খেয়াল রাখব। আমাদের আফশোস, সাংবাদিকরা কাউকে না জানিয়েই সংঘর্ষের এলাকায় ঢুকে পড়ছেন। নিহত ভারতীয় সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত।’’ এবার বিলাল আহমেদের দাবি থেকে উঠে এল সম্পূর্ণ অন্য ছবি।
উল্লেখ্য, সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হয়ে পেশার খাতিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের স্পিন বলদাক এলাকায় কাজ করছিলেন দানিশ। মাঝমধ্যেই আফগান সেনা-তালিবানদের সংঘর্ষের ছবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থানের ছবি তুলেও পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই কাজের ফাঁকেই সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.