Advertisement
Advertisement
সমকাম

সমকাম-পরকীয়া অপরাধ! পাথর ছুঁড়ে খুনের নিদান ব্রুনেইয়ে

দ্বীপরাষ্ট্রের আইনের বিরোধিতায় সরব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি৷

Aduiltery or gay sex will be punished as death by stone pelting in Brunei
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 28, 2019 4:05 pm
  • Updated:March 28, 2019 4:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব দুনিয়ার নৃশংসতা এবার এশিয়ার এক দেশে৷ সমকাম অথবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে অপরাধ গণ্য করে গুরুতর শাস্তির নিদান চালু করতে চলেছে এশিয়ার দ্বীপদেশ ব্রুনেই৷ ওই দুই ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে পাথর মেরে খুনের দণ্ড দেওয়ার বিধি চালু করছে সেদেশের প্রশাসন৷ সংসদে নতুন আইন পাশ করানোর পর ৩ এপ্রিল থেকেই ব্রুনেইতে এই শাস্তি কার্যকর হচ্ছে৷ ব্রুনেইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেলের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণার পর থেকে যথারীতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-সহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন বিরোধিতায় নেমেছে৷

                                            [ আরও পড়ুন:  ভারতের ‘স্যাটেলাইট কিলার’ মিসাইলে ভীত পাকিস্তান, সতর্ক চিন]

এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপাঞ্চলে এক ছোট্ট রাষ্ট্র ব্রুনেই৷ এই অঞ্চলের মধ্যে ব্রুনেই প্রথম দেশ যেখানে ২০১৪ সাল থেকে শরিয়তি আইন লাগু হয়৷ প্রতিবেশী মুসলিম দেশে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার প্রভাবে ব্রুনেই শরিয়াতি আইন চালু করে৷ তবে ওই দুই দেশের তুলনায় তেল-সমৃদ্ধ এই ছোট্ট দেশটি অনেক বেশি গোঁড়া বলে পরিচিত৷ নামে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও, আইন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন সেখানকার সুলতান পদমর্যাদার ব্যক্তিই৷ ইসলাম অধ্যুষিত ব্রুনেইতে একাধিক বিষয়ে তারা অনেক ক্ষেত্রেই কড়া শাস্তির আইন চালু করেছে৷ মদ বিক্রি থেকে মদ্যপান সবটাই নিষিদ্ধ এখানে৷ সাম্প্রতিক আইনটি অর্থাৎ সমকাম অথবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি হিসেবে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার নিদান সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারাই৷ এর আগে সৌদি আরবে এধরনের নৃশংসতার নিদর্শন আছে৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে অপরাধ গণ্য করে সেদেশে অভিযুক্ত ধরে বেঁধে পাথর ছুঁড়ে গণপ্রহারে খুন করা হয়েছে৷ কিন্তু ব্রুনেই যা করল, তা একেবারেই নজিরবিহীন৷ রীতিমতো আইন করে পাথর ছুঁড়ে খুনের শাস্তি চালু হল৷

Advertisement

brunei sultan

                              [ আরও পড়ুন:  দেশে ফিরল না ঐতিহাসিক সামগ্রী, লন্ডনে নিলামে উঠল টিপুর বন্দুক ও হায়দারের তলোয়ার]

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে ব্রুনেইয়ের গবেষক ব়্যাচেল চো হাওয়ার্ড বলছেন, ‘ব্রুনেই প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই ভয়ংকর আইন পাশ হওয়া স্থগিত করা৷ দণ্ডবিধি করতে হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করে৷ কিন্তু তা মানছে না এই দেশ৷ আন্তর্জাতিক মহল এর তীব্র নিন্দা করছে৷’ যদিও এসব কথা বিশেষ কানে তুলছেন না ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসান-অল-বলকিয়া৷ তাঁর কথায়, ‘আমাদের এই আইনকে কেউ সমর্থন করতে পারে, বা না-ই পারে৷ কিন্ত আমি নিশ্চিত, অন্যেরা আমাদের যেভাবে শ্রদ্ধা করে, সেই শ্রদ্ধা অটুটই থাকবে৷ এতে আমাদের নিয়ে ধারণা কারও বদলে যাবে না৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement