Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mumbai Blast

‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল নাম, করাচিতে মৃত্যু ১৯৯৩ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত সেলিম গাজির

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে গাজির!

accused in 1993 Mumbai blast case dies in Karachi | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 16, 2022 10:04 pm
  • Updated:January 16, 2022 10:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে মৃত্যু হল ১৯৯৩ সালের মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ( Mumbai Serial Blast) অন্যতম অভিযুক্ত সেলিম গাজির (Salim Gazi)। মুম্বই পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার মৃত্যু হয়েছে গাজির।

মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’দের তালিকায় নাম ছিল দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের ঘনিষ্ট সেলিম গাজির । যদিও কুখ্যাত মুম্বই হামলার পরে পরেই সে দেশ ছেড়ে পালায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, গত বেশ কিছুদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ-সহ একাধিক অসুস্থতায় ভুগছিল গাজি। শনিবার করাচিতে (Karachi) হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে হেফাজতে পেতে চলেছে ভারত]

১৯৯৩ সালের মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পকদের অন্যতম ছিল এই গাজি। প্রথম থেকে গোটা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। গাজির বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ মিললেও শেষ পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ তার নাগাল পায়নি। ছোটা শাকিল ও অন্যদের মতো সেও হামলার পরে পরেই দেশ ছাড়ে সে।

১৯৯৩ সালের ১২ মার্চে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণর ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহতের সংখ্যা ছিল ৭০০-র বেশি। গত বছর মুম্বইয়ের হামলার আরেক অভিযুক্ত ইউসুফ মেমনের (Yusuf Memon) মৃত্যু হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ইউসুফের মৃত্যু হয় নাসিক রোড জেলের মধ্যে। ইউসুফ মুম্বই হামলার মূলচক্রী টাইগার মেমনের (Tiger Menon) ভাই।

[আরও পড়ুন: করোনায় প্রয়াত প্রাক্তন NSG প্রধান, মুম্বই হামলায় দিয়েছিলেন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব]

মুম্বই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম এখনও পাকিস্তানে। টাইগার মেমনও পাকিস্তানে বলেই খবর। টাইগারের ভাই ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই। ১৯৯৩-এর সেই বিস্ফোরণের সময় দাউদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল আবু সালেম। নাশকতার ষড়যন্ত্রে সেও সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল। গ্রেফতারি এড়াতে সে প্রথমে মধ্য এশিয়ায় আশ্রয় নেয়। পরে চলে যায় পর্তুগালে।

পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকেই পরে আবু সালেমকে থেকে গ্রেফতার করা হয়। আবু সালেমের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয় মুস্তফা দোসা, ফিরোজ খান, তাহের মার্চেন্ট, রিয়াজ সিদ্দিকি এবং করিমুল্লা খান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement