সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার কি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে উত্তর কোরিয়া? ইঙ্গিত কিন্তু তেমনটাই। আর এই চিন্তা গ্রাস করেছে আমেরিকা, জাপান-সহ গোটা বিশ্বকে। কিন্তু কেন এমনটা ভাবা হচ্ছে? গত কয়েকদিন ধরেই সে দেশে চলছে উৎসব। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার পার্টির বর্ষপূর্তি এবং প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের। কিন্তু জানা গিয়েছে, যুদ্ধবাজ দেশটির পরমাণু বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে দু’জনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি সেই রি মান-গন এবং কিম রাক-গিয়মকে কোনও অনুষ্ঠানেই দেখা যায়নি। আর এখানেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। ফের একবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে পিয়ং ইয়ং। এমনই আতঙ্কে ভুগছে পড়শি দেশ দক্ষিণ কোরিয়াও।
গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে সরকারের তরফে আয়োজিত হয়েছিল একটি মিছিল। এছাড়া মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান হয়েছিল জাঁকজমকপূর্ণভাবেই। এই দুই অনুষ্ঠানে দেশের সমস্ত বড় বড় মন্ত্রী আমলারা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু দেখা পাওয়া যায়নি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন দপ্তরের সুপারভাইজার রি মান-গন এবং স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্সের প্রধান কিম রাক-গিয়মের। আর এরপরই ছড়ায় জল্পনা। উত্তর কোরিয়ারই এক সরকারি আধিকারিক জানান, কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যেই হয়তো ওই দুই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নিশ্চয়ই কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। আর ওই আধিকারিকের এই বক্তব্যের পরই মনে করা হচ্ছে যে, তাহলে ফের একবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে পিয়ংইয়ং। আর সেটার গুরুদায়িত্ব এই দু’জনের উপরেই। কেউ কেউ আবার বলছেন, যুদ্ধবাজ নেতা কিমের সঙ্গে হয়ত কোনও কারণে বিবাদে জড়িয়েছেন এই দুই আধিকারিক। কিংবা উত্তর কোরিয়ার সর্বময় কর্তার কোনও নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন। আর তাই রি এবং কিম রাক- দু’জনকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের বহু দেশের নিষেধাজ্ঞা, খোদ আমেরিকা এবং রাষ্ট্রসংঘের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে একের পর এক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছেন খ্যাপাটে কিম জং উন। আর এজন্য কোনও বিশেষ দিনকেই বেছে নিয়ে থাকেন তিনি। তাই ফের খুব শীঘ্রই যে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করবে পিয়ং ইয়ং, সে ব্যাপারে নিশ্চিত গোটা বিশ্বই। এদিকে, ফের একবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর কোরিয়ার একাংশ। গত বৃহস্পতিবার হওয়া মৃদু এই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ২.৯। উৎসস্থল ছিল চিন সীমান্তের নিকটবর্তী সুংগজিবেইগাম। এখানেই আগে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করত উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এই ভূমিকম্প যে কোনও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য হয়নি, পুরোটাই প্রাকৃতিক সেটা জানিয়েছে আমেরিকা। যদিও প্রাথমিকভাবে ফের একবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার কথা মনে করা হচ্ছিল। তবে মার্কিন নিরাপত্তা আধিকারিকরা আশ্বস্ত করেন, না কোনও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নয়, প্রাকৃতিক কারণেই ভূমিকম্পটি হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.