ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড-বিধি না মানলে ফের ফিরতে পারে লকডাউন পরিস্থিতি। ওমিক্রনের সুনামিতে ভেঙে পড়তে পারে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। করোনার নতুন প্রজাতি এতটাই অতি-সংক্রামক যে আপাতত এটি বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওমিক্রনের (Omicron) ঠেলায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা রীতিমতো ত্রস্ত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে ওমিক্রন আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠছে। ডেল্টার যে সময়ে বৃদ্ধি হয়েছিল তেমনই এক সুনামির দিকে এগিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। এর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বাড়ছে চাপ। করোনার দুই প্রজাতির জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুও বেড়েছে অনেকটাই।” তিনি আরও বলেন, “নতুন কোভিড (COVID-19) রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় অসুস্থ হয়ে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। যাঁদের টিকা (Corona Vaccine) হয়নি তাঁদের সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকিও অনেক বেশি।”
বস্তুত, আমেরিকাতেও ৫০টি প্রদেশে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে চার লক্ষ। তাও কোয়েন্টাইনের নিয়ম বদলে ফেলেছে বাইডেন প্রশাসন। বিশ্বে করোনার মানচিত্রে ভারতের অবস্থাও বেশ করুণ। গত কয়েকদিন যে দৈনিক সংক্রমণ ছয় হাজারের ঘরে ঘুরছিল, সেটাই ন’হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। একদিন সংক্রমণ ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে বলেই এই তথ্য সামনে এসেছে। আড়াইশোর কাছাকাছি ওমিক্রন ধরা পড়েছে দিল্লিতে। তার পরই দুশোর কাছাকাছি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। পিছিয়ে নেই কেরল, গুজরাটের মতো রাজ্যও।
সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের COVID-19 ট্র্যাকার সম্পর্কিত একটি গবেষণা বলছে, ভারতে তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভারতে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র আরও স্পষ্ট হবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণের হার প্রায় ২৯ শতাংশ কমে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.