সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশজুড়ে পরপর পেজার বিস্ফোরণ লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অংশে। যার জেরে মৃত্যু হল ৯ জনের পাশাপাশি আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫০ জন। মৃত ও আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই হেজবোল্লা জঙ্গি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনার পিছনে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হাত দেখছে হেজবোল্লা গোষ্ঠী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, প্রায় একই সময় লেবানন ও সিরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যার জেরে জঙ্গিদের পাশাপাশি আহত হন বহু সাধারণ মানুষ। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রদূতও। লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই বিস্ফোরণ ঘটে। কারও হাতে তো কারও পকেটে থাকা পেজার পর পর ফাটতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পেজার বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এই সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে ইজরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে হেজবোল্লা। ইজরায়েলের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। যদিও ইজরায়েল এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি।
সূত্রের খবর, প্রায় ৫ মাস আগে লেবাননের হেজবোল্লা গোষ্ঠী ৫ হাজার তাইওয়ান পেজারের অর্ডার দিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, হেজবোল্লা জঙ্গিদের ব্যবহারের জন্য অর্ডার দেওয়া সেই পেজারে বিস্ফোরক ঢুকিয়েছিল ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। গত মঙ্গলবার পরিকল্পিতভাবে সবকটি পেজারে একত্রে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
উল্লেখ্য, মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই যন্ত্র। এর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পেজারের মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না। ফলে ফোন ট্যাপিং থেকে বাঁচতে জঙ্গিরা এই যন্ত্র ব্যবহারেই প্রাধান্য দেয়। মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে মেসেজ পাঠায় ও গ্রহণ করে এই পেজার। ডিভাইসটির ছোট স্ক্রিনে সেই বার্তা দেখা যায়। একটা সময় গোটা বিশ্বে এই যন্ত্র ব্যবহার হলেও মোবাইল আসার পর এর ব্যবহার কমেছে। এই যন্ত্রেই এমন ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন বিশ্ব। কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হল তা কারও কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.