Advertisement
Advertisement
গুরুদ্বার

দেশভাগের ৭২ বছর পর, পাকিস্তানে খুলল ঐতিহাসিক গুরুদ্বারের দরজা

একদা এই গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছিলেন শিখ ধর্মগুরু নানক।

Pakistan opens historic gurdwara in Punjab province for Sikh devotees
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 3, 2019 4:43 pm
  • Updated:August 3, 2019 4:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশভাগের ৭২ বছর পর, পাকিস্তানে শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হল ঐতিহাসিক গুরুদ্বার চোওয়া সাহিব। আগামী নভেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী গুরু নানকের ৫৫০ তম জম্মবার্ষিকী
পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শিখ সম্প্রদায়ের তরফে। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাক অধিকৃত পাঞ্জাবের ওই ঐতিহাসিক গুরুদ্বার শুক্রবার খুলে দেওয়া হল ইমরান সরকারের পক্ষ থেকে। এর ফলে ভারত-সহ সারা
বিশ্বের শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ এবার থেকে প্রবেশ করতে পারবেন ওই গুরুদ্বারে।

[আরও পড়ুন: ভাঙল তিন দশকের রুশ-মার্কিন মিসাইল চুক্তি, ফের শুরু ঠান্ডা লড়াই!]

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পাক অধিকৃত পাঞ্জাবের ঝিলম জেলা থেকে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতে চলে এসেছিলেন। এর ফলে তখন থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চোওয়া সাহিব গুরুদ্বার। এই ঘটনার ৭২ বছর পর,
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত রোহতাস দুর্গের কাছে অবস্থিত এই গুরুদ্বারটি খুলে দেওয়া হল তীর্থযাত্রীদের জন্য। এই উপলক্ষে পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও শুক্রবার এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন শিখ ধর্মের বহু মানুষ। প্রার্থনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর কীর্তনে অংশ নেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থান বিষয়ক সংস্থা ইটিপিবি-এর চেয়ারম্যান ডাঃ আমের আহমেদ। ছিলেন পাকিস্তানের শিখ গুরুদ্বার প্রাবন্ধিক কমিটি(পিএসজিপিসি)র সভাপতি সর্দার সাওয়ান্ত সিং।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে ইটিপিবির মুখপাত্র আমির হাশমি বলেন,”পুজো ও দর্শনের জন্য ঐতিহাসিক গুরুদ্বার চোওয়া সাহিব খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও সেখানে কিছু সংস্কারের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলে দেশের পাশাপাশি বিদেশ
থেকেও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা এখানে আসতে পারবেন। তা তাঁরা ভারত বা অন্য যেকোনও দেশ থেকেই আসুক না কেন। তাঁদের এই ধর্মীয় স্থানে স্বাগত জানানো হবে।”

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ফের ‘মধ্যস্থতা’র বার্তা ট্রাম্পের, তোপ ভারতের]

১৮৮৪ সালে মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর আমলে তৈরি করা হয়েছিল ওই গুরুদ্বারটি। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশ্বাস, স্থানীয় টিল্লা জোগিয়ান মন্দির দর্শন করে ফেরার পথে এখানে কয়েকদিন আশ্রয় নিয়েছিলেন গুরু নানক। তাই এই জায়গার গুরুত্ব অপরিসীম শিখদের কাছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement