Advertisement
Advertisement
টুইটার

ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে মাত্র একমাসেই সাত হাজার টুইটার অ্যাকাউন্ট! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে উগ্র ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হয়।

7 thousand twitter account has opend to spread discrimination

এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে উগ্র ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হয়।

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 4, 2020 10:18 pm
  • Updated:May 4, 2020 10:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে ডেস্ক: শুধু এপ্রিল মাসেই প্রায় সাত হাজারের কাছাকাছি টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা ও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে পাকিস্তানের তরফ থেকে। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এমন রিপোর্টই পেশ করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, অ্যাকাউন্টগুলি থেকে উগ্র ভারত বিরোধী প্রচার চলছে। এই প্রচারের একটাই উদ্দেশ্য, ইসলামিক দেশগুলির সঙ্গে ভারতের হৃদ্যতা ক্ষুণ্ণ করা। ভারতে যে প্রবল ‘মুসলিম-বিদ্বেষ’ চলছে, সেটা তুলে ধরাই সোশ‌্যাল মিডিয়ায় ওই সংগঠিত প্রচারের লক্ষ‌্য।

এর আগেও গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দিল্লির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান উঠে পড়ে লেগেছে। যার জন্য জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে প্রচুর টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। বর্তমান রিপোর্টটি সরকারের কাছে গোয়েন্দা সংস্থা তুলে দিয়েছে চলতি সপ্তাহেই। জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে নতুন করে সাত হাজারের মতো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং তা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিদ্বেষ ভাল পরিমাণেই ছড়াচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে তা প্রভাবিতও করছে বলে সূত্রের দাবি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট যেখানে প্রোফাইলের ছবিতে এক মৃত মানুষের ছবি দেওয়া রয়েছে। ক্যাপশনে লেখা- এই হল কাশ্মীরিদের অবস্থা। পরে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, ছবিটি আসলে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরের ছবি। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল এক জইশ ও দুই পাকিস্তানি উগ্রপন্থীর। এই ছবিটি নিহত জইশ জঙ্গির।

Advertisement

[আরও পড়ুন:সংক্রমিত রাজ্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এসকর্ট গাড়ির চালক, চিন্তায় কেন্দ্র]

গত বছর আগস্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব‌্য করেছিলেন। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মুসলিমবিদ্বেষী হিসাবে দেখানো এসবের নেপথ্যে যে কেবল ‘আইটি সেল’—রয়েছে তা নয়, রয়েছেন স্বয়ং ইমরান খান। আগস্টের ওই সভাতে প্রথমবারের জন্য বিশ্বের দরবারে ইমরান খান কাশ্মীর ও অন্য স্থানে মুসলমানদের দুর্দশা নিয়ে বলেছিলেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব অবশ্য জানিয়েছেন, দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন, তা এইসব টুইট কোনওকালেই বিচার করবে না। আসল ছবিটা সত্যিই এইরকম নয়।

[আরও পড়ুন:‘টিকিয়াপাড়ার অশান্তির পিছনে বিজেপি নেতার ভাই’, ভিডিও প্রকাশ করে দাবি হাওড়া সিটি পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement