সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাস করেও মাঝে মাঝে ‘অসহিষ্ণুতা’, ‘বাক-স্বাধীনতা’ নিয়ে বোদ্ধাদের আমূল ‘বিপ্লবে’ উত্তাল হয় রাজপথ। ব্যয় হয় পাতার পর পাতা ও টেলিভিশনের ‘প্রাইম টাইম’। তবে স্বৈরতন্ত্রের নাগপাশে আবদ্ধ উত্তর কোরিয়ার এই সাতটি নিয়ম শুনলে, ভারতবর্ষে জন্মানোর জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করবেন।
১) উত্তর কোরিয়ায় আছে মাত্র তিনটি টিভি চ্যানেল: নরম বিছানায় গা এলিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা একের পর এক চ্যানেল পাল্টানোর বিলাসিতায় যারা অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য নরক কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি। সরকার অনুমুদিত মাত্র তিনটি চ্যানেল বরাদ্দ উত্তর কোরীয় জনগণের জন্য।
২) অপরাধে হাজতবাস তিন প্রজন্মের: কোনও অপরাধ করলে তার শাস্তি পেতে হবে অপরাধীর তিন প্রজন্মকে। এই নারকীয় বিধানে হাজার হাজার নির্দোষ ব্যক্তির জীবনাবসান হয়েছে অন্ধকার জেলে।
৩) চুল কাটতে হবে সরকারের নির্দেশ মতো: সেলুনে বসে কেতা করে চুল ছাঁটলে যেতে হবে হাজতে। স্বৈরাচারী কিমের দেশে সরকারের ঠিক করে দেওয়া আঠাশ’টি স্টাইল অনুকরণ করেই চুল ছাঁটতে হয় নাগরিকদের। ২০১৩ সাল থেকে এই নিয়ম চালু করা হয়।
৪) অনুমতি ছাড়া থাকা যাবে না রাজধানীতে: উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ থাকতে হলে নিতে হবে বিশেষ অনুমতি। ওই দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ রাজধানী। একমাত্র সমাজের উচ্চশ্রেণীর ব্যক্তিরাই ওখানে থাকার অনুমতি পান।
৫) বাচ্চাদের স্কুলে পাঠালে সঙ্গে দিতে হবে ডেস্ক-বেঞ্চ: শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারের জন্য নাগরিকদের দিতে হয় বাড়তি টাকা। শুনলে অবাক হবেন, স্কুলে ভর্তি হতে গেলে সঙ্গে নিতে হবে ডেস্ক-বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বইয়ের উপর ও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
৬) সঙ্গে বাইবেল রাখলে হবে সাজা: বাইবেল নাকি পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতিক। তাই উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ এই ধর্মগ্রন্থটি। বাইবেল বিতরণের অপরাধে একবার গুলি করে মারা হয়েছিল এক খ্রিস্টান মহিলাকে।
৭) জনপ্রিয় মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার পণ্যে নিষেধাজ্ঞা: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপল, সোনি ও মাইক্রোসফটের দ্রব্য নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। ওই বহুজাতিক সংস্থাগুলির নির্মিত আইফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যে ব্যবহার করলে প্রাণদণ্ডও হতে পারে ওই দেশে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.