সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন চিন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও প্রায় ৪০ জন আটকে রয়েছেন বলে খবর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে পদে পদে বাধার মুখে পড়ছেন উদ্ধারকারীরা। হোটেলের মালিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, পাঁচতলা ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংস্কারের কাজ চলছিল। সেইসময় একটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরই বিল্ডিংটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।
দক্ষিণ পূর্ব চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝাউ এলাকার জিংজিয়া এক্সপ্রেস হোটেলটিকে কোয়ারেনন্টাইন সেন্টারে পরিণতি করা হয়েছিল। সেখানে ওই প্রদেশের করোনা আক্রান্তদের রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় প্রসাশনিক কর্তারা। তাদের নজরদারিতে শুরু হয় উদ্ধারকার্য।
শনিবার সন্ধে থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। চিনা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উন্নতমানের যন্ত্র ব্যবহার করে প্রায় ১০০০জন কর্মী কাজ করছেন। জনা তিরিশেক মহিলা-পুরুষকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। লাইফ ডিটেক্টর দিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকাদের খোঁজ চলছে। ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়ে প্রচুর উন্নত যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে এটিকে হোটেল হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই বিল্ডিংটি কার্যত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৫৮ জনকে এখানে রাখা হয়েছিল। এর পাশাপাশি হোটেলের ১৬জন কর্মী ও ৬ জন গাড়ির ডিলার ছিলেন। এদিকে দিন কয়েক ধরে বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। শনিবার সেই কাজ চলার সময় একটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে কথা মালিককে ফোন করে কর্মী জানিয়েওছিলেন। এরপরই হুড়মুড়িয়ে বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.