সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারাবন্দিদের মধ্যে দাঙ্গা ইকুয়েডরে (Ecuador)। পৃথক তিনটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় অন্তত ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরাও রয়েছেন। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো জানিয়েছেন, এই দাঙ্গার পিছনে রয়েছে অপরাধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শুরু হওয়া বচসা। যাকে কেন্দ্র করে জেলে জেলে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক দাঙ্গা। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাত থেকেই দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমেই খারাপ হয়ে যায় পরিবেশ। বন্দুক, ছুরি নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে ভিন্ন দলের বন্দিরা। বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে গুয়াইয়াকিল, কুয়েনকা এবং লাতাকুনগা কারাগারের সামনে ভিড় জমান বন্দিদের আত্মীয়রা। অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। কী করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে জেল? প্রশ্ন বহু বন্দির আত্মীয়দের। রিকার্ডো নামে এক বন্দির স্ত্রী সরিয়ার অভিযোগ, ”ভিতরে রয়েছে পুরোদস্তুর বাজার। সব কিছু পাওয়া যায়। মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র থেকে শুরু করে কুকুরছানাও। সব কিছু বিক্রি হয়।” স্বামীকে নিয়ে অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে ভয়েস পাঠিয়েছেন তাঁর স্বামী। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ”ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে এখান থেকে বের করো।” তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে আর কোনও ভাবেই যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি সরিয়া। এমন অবস্থা অনেকেরই।
পরিস্থিতি যে ভয়ংকর, তা মেনে নিচ্ছেন পুলিশ কমান্ডার প্যাট্রিসিও কারিল্লো। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি দ্রুত কী করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। ইকুয়েডরের বহু জেল সম্পর্কেই বলা হয়, সেগুলি বাড়তি ভিড়ে উপচে পড়ছে। এই দাঙ্গার ঘটনায় অবশ্য টনক নড়েছে সরকারের। আপাতত অতিরিক্ত বন্দির সংখ্যা ৪২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.