সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪৷ রবিবারের এই কম্পনে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বাড়ি ভেঙে পড়ে জখম হয়েছেন আরও ১২ জন৷ তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে৷
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার স্থানীয় সময় পৌনে সাতটা নাগাদ ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প হয়৷ জনপ্রিয় সৈকত শহর লম্বকেই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তখনও বেশীরভাগ মানুষই ঘুমোচ্ছিলেন৷ আচমকাই কম্পন অনুভূত হয়৷ প্রায় ২০-৩০ সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রত্যেকে৷ তড়িঘড়ি বিছানা বেড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসেন প্রত্যেকে৷ জানা গিয়েছে, লম্বক দ্বীপের মাতারাম শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ছিল ভূ্মিকম্পের উপকেন্দ্র৷ ভূমিকম্পের জেরে ওই দ্বীপপুঞ্জে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷
সৈকত শহর লম্বকে অন্তত ৩ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন৷ ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছে অধিকাংশ বাড়ি৷ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটলও দেখা দিয়েছে৷ ভূমিকম্প হওয়ার সময় দৌড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন অনেকে৷ তার জেরেও জখম হয়েছেন অনেকেই৷ ভেঙে পরা বাড়ির নিচেও চাপা পড়ে যান অনেকেই৷ এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ জখম প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন৷ জারি উদ্ধারকাজ৷ মূল কম্পনের পর আরও ১১ বার কম্পন অনুভূত হয় লম্বকে৷ লম্বকের পাশাপাশি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র বালিও৷ ক্ষতি হয়েছে মাউন্ট রিনজানি ন্যাশনাল পার্কেরও৷ পর্যটকদের ওই পার্কে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয়ে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ। মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দ্বীপপুঞ্জের মাটি। ভূমিকম্পের ফলে সুনামিরও আশঙ্কা রয়েছে দ্বীপপুঞ্জে। ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয় ২০০৪ সালে। পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে সমুদ্রের গভীরে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই সুনামিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.