Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

করোনার বলি ৫ বছরের শিশু, সবচেয়ে কম বয়সীর মৃত্যুতে শোকাহত ব্রিটেন

এর আগে ১৩ বছরের এক কিশোর করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিল।

5 years old child in UK died of Corona, he is the junior most victim there
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 5, 2020 4:52 pm
  • Updated:April 5, 2020 5:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার ছোবলে প্রাণ হারাল ব্রিটেনের কনিষ্ঠতম সদস্য। মাত্র ৫ বছরের শিশুর প্রাণহানির ঘটনা সে দেশে পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। ওই শিশুর পরিবারের অনুরোধে এ নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেয়নি ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চিকিৎসক মহলের মতে, পাঁচ থেকে একশ বছর – প্রত্যেক করোনা পজিটিভ রোগীই কার্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এই মুহূর্তে ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ৪৩০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৪২ হাজার। এদিকে, করোনা পজিটিভ হওয়ায় আইসোলেশনে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীর শরীরেও উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। তবে এখন তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

গত সপ্তাহে লন্ডনের বাসিন্দা, ১৩ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল করোনার ছোবলে। পরিবার সূত্রে খবর, তার কোনওরকম উপসর্গ দেখা দেয়নি। পরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তার। আর তাতেই প্রাণহানি। পরে ব্রিটেনের মন্ত্রী মাইকেল গোভ জানিয়েছেন যে ওই কিশোরের মা এবং ভাইবোনের শরীরেরও উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।এতদিন লন্ডনের এই কিশোরই ছিল ব্রিটেনে করোনার সর্বকনিষ্ঠ বলি। তবে শনিবার ৫ বছরের শিশুর মৃত্যুতে সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিনের পরীক্ষাগারেই তৈরি হয়েছে করোনা! আমেরিকার পর সরব ব্রিটেনও]

ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। চলতি সপ্তাহান্তে ফি দিন গড়ে ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। একুশ দিনের লকডাউন চলছে সে দেশেও। কিন্তু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গরম এবং তার জেরে বাড়ি থেকে মানুষজনের পার্কে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা। আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের সময়সীমাটাই স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘যদি দূরত্ব না রাখি, তাহলে আমরা মরব।’

ইম্পেরিয়াল কলেজে অফ লন্ডনের মহামারি বিশেষজ্ঞ নিল ফার্গুসন বিবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছেন, “আমরা এখনও বিপদসীমার নিচেই আছি। পরের সপ্তাহে একেবারে শিখরে পৌঁছব। মে মাসের শেষ পর্যন্ত বিপদ থাকবে। তাই চিনের মতো লাগামছাড়া হওয়া যাবে না।” এদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় চাপ পড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরেও। প্রয়োজন মনে হলে তবেই ভরতি রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।

[আরও পড়ুন: কাবুলের গুরুদ্বারে হামলায় প্রাণহানি, গ্রেপ্তার ঘটনার মূলচক্রী আইএস নেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement