সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন ভারতীয়৷ রবিবার ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে টুইট করে একথা জানানো হয়েছে। ওই টুইটে জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন মারা গিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিক৷ তাঁরা হলেন মেহবুব খোকর, রামিজ ভোরা, আসিফ ভোরা, অ্যান্সি আলিবাভা এবং ওজের কাদির৷
With a very heavy heart we share the news of loss of precious lives of our 5 nationals in ghastly terror attack in #Christchurch
Mr. Maheboob Khokhar
Mr. Ramiz Vora
Mr. Asif Vora
Ms Ansi Alibava
Mr. Ozair Kadir@kohli_sanjiv @MEAIndia @SushmaSwaraj 1/3— India in New Zealand (@IndiainNZ) March 16, 2019
নিউজিল্যান্ডে নিহত কেরলের ত্রিসূরের বাসিন্দা অ্যান্সি আলিবাভা। স্বামীর সঙ্গে মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে মারা যান। তাঁর স্বামীরও গুলি লেগেছে। হাসপাতালে ভরতি তিনি। হামলায় মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ড ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন-সহ সকলেই৷
মৃতদের নাম জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রাইস্টচার্চে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত একটি ওয়েবপেজও খুলেছে নিউজিল্যান্ড প্রশাসন । ওই ওয়েবপেজ থেকেও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।
Immigration NZ has set up a dedicated page to expedite visa for family members of Christchurch victimshttps://t.co/Hj9bgfM62h@kohli_sanjiv @BhavDhillonnz @MEAIndia @SushmaSwaraj
— India in New Zealand (@IndiainNZ) March 16, 2019
এছাড়া আরও দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে৷ নম্বর দু’টি হল ০২১৮০৩৮৯৯ এবং ০২১৮৫০০৩৩৷
Our helpline numbers (021803899 & 021850033) will remain available round the clock to assist families as we together cope with our shared grief.
We deeply mourn loss of all other innocent lives including people of Indian origin. 2/3
— India in New Zealand (@IndiainNZ) March 16, 2019
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে প্রধান মসজিদ আল নূর ও শহরতলি লিনউডের মসজিদে তখন নমাজ পাঠ চলছিল৷ কয়েকজন বাইরে বেরিয়ে আসছিলেন৷ সেই সময় আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করতে করতে মসজিদে ঢুকে পড়ে ব্রেন্টন হ্যারিসন টারান্ট নামে এক যুবক৷ নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে সে৷ গুলিতে জখম অবস্থায় কেউ ছটফট করছেন তো কেউ ভয়ে চিৎকার করছেন৷ কিন্তু তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই টারান্টের৷ পরিবর্তে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করা মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যায় সে৷ ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ড ধরে লাইভ করতে করতে গুলি চালাতে থাকে টারান্ট৷ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলার ৯ মিনিট আগে ইন্টারনেটে ৭৪ পৃষ্ঠার একটি ইস্তাহার পোস্ট করে টারান্ট। যার ছত্রে ছত্রে প্রকাশ পেয়েছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও নিজের কট্টরপন্থী মতাদর্শের কথা। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে এশিয়া, আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণায় অন্ধ ছিল ব্রেন্টন হ্যারিসন টারান্ট। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা চালানোর ঘটনায় ধৃত অস্ট্রেলিয়ান যুবককে শনিবার সকালে ক্রাইস্টচার্চ হাই কোর্টে তোলা হয়। এরপর কোনও শুনানি ছাড়াই তাকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.