সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে দু’জন। তারপর আরও দু’জন। একে একে সেনার বিশেষ উদ্ধারকারী দল অন্ধকার গুহা থেকে বের করে আনছে খুদে ফুটবলারদের। প্রায় চোদ্দদিনের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে অবশেষে জীবনের দিকে ফিরছে ১১ ফুটবলার এবং তাদের কোচ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চারজন কিশোরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
[ বেজিংকে চরম হুঁশিয়ারি, চিনের গা ঘেঁষে টহল দিল দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ]
গোড়াতে দিশাহীন ছিল সেনাও। গুহার মধ্যে একটা উঁচু জায়গায় আছে কিশোররা। কিন্তু সামনে পুরো অংশ জলমগ্ন। থাইল্যান্ডের ওই গুহা যেন কিশোরদের কাছে মরণকূপ হয়ে উঠেছিল। বিশেষ ‘মিশন’ ছাড়া এ ধরনের উদ্ধারকাজ সম্ভব নয়। তার জন্য পরিকল্পনা দরকার। এর আগে সেনা নিজের চেষ্টায় কিশোরদের কাছে পৌঁছেছিল। বাড়ির লোকের দুশ্চিন্তা কাটাতে কিশোররা চিঠিও দেয় সেনার হাতে। একজন তো আবার জন্মদিনের পার্টি সেলিব্রেট করার কথাও লিখেছে। কিন্তু দুশ্চিন্তার ক্ষতে প্রলেপ পড়লেও এতে চিন্তা কাটে না। সামনের জলস্তর অতিক্রম করতে হবে সাঁতরে। কিন্তু কিশোররা অনেকেই সাঁতার জানে না। ফলে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল সেনাও। তবে তার মধ্যেই পরিকল্পনা করে নেওয়া হয়। আজ সেনা গুহার দিকে যাত্রা শুরু করে। সামনে থেকে জল সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি কিশোরের সঙ্গে থাকছে উদ্ধারকারী দলের দু’জন সদস্য। এইভাবেই চারজন কিশোরকে এখনও পর্যন্ত বের করে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবাইকে উদ্ধার করতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
[ ইসলামাবাদের মদতেই PoK-তে বাড়ছে জঙ্গিদের দাপাদাপি, আন্দোলনে নাগরিকরা ]
থাইল্যান্ডের ‘ওয়াইল্ড বোর’ ফুটবল দলের এই খুদে ফুটবলাররা প্রায় চোদ্দদিন আটকে ছিল এই গুহায়। গত ২৩ জুন প্র্যাকটিসের পর গুহায় অ্যাডভেঞ্চারের নেশাই বিপদ ডেকে এনেছিল। একজনের জন্মদিন সেলিব্রেট করারও কথা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ওই গুহাতেই সকলে আটকে পড়তে হয়েছিল। খুদেদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আর কোচের বয়স ২৫। সকলেই প্রায় দুঃস্বপ্নের মধ্যে বাস করছিল। এতদিনে সেনার পরিকল্পনায় উদ্ধারকাজ সম্ভব হচ্ছে। আর যদি কোনও বিপর্যয় না হয় তবে দু-একদিনের মধ্যেই সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। চার কিশোরকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসাপালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.