সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত রয়েছে। প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছে খাবার ও পানীয় জলও। টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া ডুবোজাহাজের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই মত উদ্ধারকারীদের। একাধিক দেশের নৌসেনা, যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে রোবটকেও। উদ্ধারকাজের দ্বিতীয় দিনে আরও বেশি পরিমাণে জাহাজ কাজে লাগানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এখনও সাবমেরিনে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে বলেই উদ্ধারকারীদের অনুমান।
গত রবিবার থেকেই টাইটান নামে ওই সাবমেরিনটির (Titan Submarine) কোনও খোঁজ মিলছে না। ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেনের ভাণ্ডার নিয়ে জলের তলায় ডুব দিয়েছিল সাবমেরিনটি। তারপরে টানা তিনদিন ধরে ব্যাপক তল্লাশি সত্ত্বেও এখনও উদ্ধারকারীরা বুঝতেই পারেননি, জলের তলায় ঠিক কোন জায়গায় সাবমেরিন আটকে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক খানি সময় কেটে গিয়েছে জলের তলায়। ফলে উদ্ধারকারীদের অনুমান, মজুত থাকা অক্সিজেন, খাবার, পানীয় জল- সব কিছুই ফুরিয়ে আসছে সাবমেরিনে।
এহেন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে গতি আনতে মার্কিন সময় অনুযায়ী বুধবার থেকে আরও বেশি সংখ্যক জাহাজ নামানো হয়েছে। জলের তলায় পাঠানো হয়েছে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন রোবটও। মঙ্গলবারই উদ্ধারকারীরা দাবি করেছিলেন, প্রতি আধঘণ্টা অন্তর নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সাবমেরিনের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা, মার্কিন সময়ে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদই অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারে শেষ হয়ে যাবে।
সাবমেরিনের এই বিপর্যয়ের পরেই প্রশ্ন উঠছে এই অভিযানের আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওশানগেট নামে একটি সংস্থা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে উত্তর আটলান্টিকের (Atlantic Ocean) প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই বিপজ্জনক থাকে। জলের তলায় ব্যাপক কুয়াশার কারণে প্রায় কিছুই দেখা যায় না। সব জেনেও কেন এই সময়ে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.