সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়োকোহামায় আটকে থাকা জাহাজে আরও এক ভারতীয়র দেহে মিলল করোনা ভাইরাস। এ নিয়ে ওই জাহাজের মোট তিনজন ভারতীয়র দেহে এই জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। টোকিওর ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে খবর, তিনজনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় ওই জাহাজে আটকে থাকা ভারতীয়দের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়া থেকেই জাপানের ইয়োকোহামায় আটকে ছিল ডায়মন্ড প্রিন্সেস। সেথানে যাত্রীর সংখ্যা ৩৭০০ জন। ইতিমধ্যে ২২০জন যাত্রীর দেহে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। সেখানে উত্তরবঙ্গের এক যুবকও রয়েছেন। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালিপুকুর-২ ব্লকের মজলিসপুরের হাতিপার বাসিন্দা বিনয়কুমার সরকার। প্রিন্সেস ডায়মন্ড জাহাজে কর্মরত তিনি।বছর তিনেক আগে গোয়ায় পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এখন কর্মসূত্রে জাপানে থাকেন বিনয়। জাহাজে হংকং থেকে টোকিও ফিরছিলেন তিনি। এরমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই ইয়োকোহামায় জাহাজটি আটকে দেওয়া হয়। প্রশাসনের কাছে দ্রুত দেশে ফেরাতে আরজি জানিয়েছেন তিনি। এনিয়ে ফেসবুকেও একটি পোস্ট করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতে হংকং থেকে এক যাত্রী ক্রুজ শিপটিতে ওঠেন। তাঁর শরীরের করোনার উপস্থিতি ছিল। আর সেখান থেকেই জাহাজের বাকি যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়। প্রমোদতরীটির ৩,৭১১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৩৮ জনই ভারতীয়। এক বিবৃতিতে জাপানের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জাহাজের ২২০ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। আর এই সংক্রমণের কারণেই জাহাজটিকে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাপানে আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত যাত্রীকে কেবিনের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের মাস্ক পরে থাকতে বলা হয়েছে এবং পরস্পরের সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থার্মোমিটার দেওয়া হয়েছে নিয়মিত নিজেদের দেহের উষ্ণতা পরীক্ষা করার জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.