সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনন্দের খোঁজ নেই। বরং বড়দিনে তুষারঝড়ে (Snow Storm) বিষাদের ছায়া আমেরিকায় (America)। ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১। পূর্ব আমেরিকার অবস্থা ভয়াবহ। কার্যত বরফের তলায় চলে গিয়েছে সাধারণ জনজীবন। বছর শেষের আনন্দের বদলে ভয়ংকর ঠান্ডায় টিকে থাকাই দায়। গত শুক্রবারই জানা গিয়েছিল, কোনও কোনও অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। সেই অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এইসঙ্গে আগের মতোই তুষারঝড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
শুক্রবারই তুষারঝড়ে ১৫ লক্ষ বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। পরে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরে। তবে মাত্রাতিরিক্ত তুষারপাতে বন্ধ হয় একাধিক সড়ক। দৃশ্যমানতার অভাবে ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। অন্যদিকে ব্যহত বিমান চলাচল। বাতিল হয় একাধিক উড়ান। এদিন জানা গিয়েছে, তুষারঝড় ‘সাইক্লোন বম্ব’-এর (Bomb Cyclone) ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নিচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। জানা গিয়েছে, দুর্যোগের আমেরিকার অন্তত ২ লক্ষ মানুষ বড়দিন কাটিয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করতে পারছে না প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, ভয়ংকর পরিস্থিতি বাফেলোয়, পশ্চিম নিউ ইয়র্কে। সেখানে দুর্যোগে বিপর্যয় ঘটলেও প্রশাসনের সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কোথাও ৮ ফুট, কোথাও বা ১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ জমে গিয়েছে রাস্তাঘাটে। প্রশাসনের ভাষায়, “বর্তমান পরিস্থিতি ভীষণ বিপজ্জনক, প্রাণঘাতী।” অতএব, সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে বারণ করা হচ্ছে।
বরফ টাকা রাস্তায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঠান্ডায় মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। জানা গিয়েছে, ঠান্ডায় কলোরাডোতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, নিউ ইয়র্কেই মারা গিয়েছেন ১২ জন। মোট ৯টি প্রদেশ থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবার আমেরিকায় এই সময় তুষারপাত হয়, তুষারঝড়ও দেখা দেয়। কিন্তু এমন দুর্যোগ বিরল। উষ্ণায়ণের কারণেই কী প্রাণঘাতী প্রকৃতি? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.