সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটাকে কি বলবেন? বিস্ফোরণ? হ্যাঁ,বলতেই পারেন। অন্তত প্রত্নতত্ত্ববিদরা তাই বলছেন। মরক্কোর পার্বত্য এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি জীবাশ্ম। যেগুলির বয়স শুনলে মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড় হবে।
[এবার বোরখায় নিষেধাজ্ঞা চাপাল এই দেশ]
এতদিন পর্যন্ত মানবদেহের যতগুলি জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে, তার সবগুলির বয়সই মোটামুটি দু’লক্ষ বছরের মধ্যে। সবচেয়ে প্রাচীন জীবাশ্ম বলে এতদিন যেটা পরিচিত ছিল, তার বয়স ১ লক্ষ ৯৫ হাজার বছর। পাওয়া গিয়েছিল ওমো কিবিশ নামে মরক্কোর বিখ্যাত ইথিওপিয়ান এলাকা থেকে। রাজধানী মারাকেস ও মরক্কোর আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই এলাকা ফসিল উদ্ধারের জন্য বিখ্যাত। এবারের আবিষ্কারও সেখান থেকেই। মোট পাঁচটি ফসিল উদ্ধার হয়েছে, যার বয়স তিন লক্ষ বছর। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে এত পুরনো ফসিল এর আগে কখনও উদ্ধার হয়নি। তাই ইতিহাসে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এই আবিষ্কার। জীবাশ্মের প্রাচীনত্ব তাক লাগানোর মতো হলেও, একটা তথ্য ভাবাচ্ছে গবেষকদের। উদ্ধার হওয়া ফসিলের খুলি বা হাড়গোড় অন্যান্য ফসিলের মতো তেমন উন্নত নয়। গবেষকরা বলছেন পূর্ব বা মধ্য আফ্রিকায় উদ্ধার হওয়া ফসিলের চরিত্র বেশকিছুটা আলাদা সদ্য উদ্ধার হওয়া ফসিলের থেকে। ফসিলের দাঁতের অংশ, খুলি ও মুখের গড়নে বর্তমান যুগের মানুষের সঙ্গে অনেকটা মিল থাকলেও, চোয়ালের অংশ অনেকটা বড়।
[মহাত্মা গান্ধীকে ‘চতুর বানিয়া’ বলে কটাক্ষ অমিতের, পাল্টা তোপ কংগ্রেসের]
জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বের গবেষক জ্যাঁ জ্যাক হুবলিন বলছেন, এই আবিষ্কার মানবসভ্যতার ইতিহাসকে অনেকটাই বদলে দেবে। প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষানিরীক্ষায় এটা প্রমাণিত যে, মানবজাতির ইতিহাস যতটা মনে করা হয়, তার চেয়েও বেশি প্রাচীন। সেই ইতিহাস অনেক জটিল, বিস্তৃত পরিসরের।
[রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন নেই ডক্টর সূর্যকান্ত মিশ্রর!]
একটি গুহায় উদ্ধার হওয়া ফসিলগুলোর মধ্যে তিনটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের। একটি ফসিল কিশোরকালের ও আরেকটি আট বছরের শিশুর। মানবদেহের ফসিল উদ্ধারের সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছে কিছু জেব্রার ফসিল। গবেষকদের অনুমান, প্রাণীগুলিকে শিকার করা হচ্ছিল। আরও একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, আগুনের ব্যবহারের নমুনাও মিলেছে সেখান থেকে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন হোমো সাপিয়েনসের বিচরণ ছিল বিশেষত আফ্রিকায়। সেই বিশ্বাসের আবারও প্রমাণ মিলল এবারের আবিষ্কারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.