Advertisement
Advertisement
এভারেস্টে জঞ্জাল

‘ছি ছি এত্তা জঞ্জাল’! এভারেস্ট সাফাইয়ে উদ্ধার ৩০০০ কেজি আবর্জনা

১৫ দিনেই এত আবর্জনা পেয়েছেন নেপালের সাফাইকর্মীরা৷

3000 kg of garbage found from Mt.Everest in Nepal's cleanup campaign
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 30, 2019 1:57 pm
  • Updated:April 30, 2019 1:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাথার উপর হিমালয়, নাকি জঞ্জালের স্তূপ? বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি দেখলে এই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য৷ এভারেস্টে পর্বতারোহীদের ঘনঘন যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় দূষিত হচ্ছে বরফে ঢাকা শৃঙ্গ৷ এমনই অভিযোগ বারবার পেয়ে ১৪ এপ্রিল থেকে নেপাল সরকার শুরু করেছে এভারেস্ট সাফাই অভিযান৷ মাত্র ১৫ দিনেই উদ্ধার হওয়া জঞ্জালের পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়৷ এভারেস্ট ঘিরে ৩০০০ কেজি আবর্জনার বলয়!

[ আরও পড়ুন : জীবিত বাগদাদের বিভীষিকা বাগদাদি! ভিডিও বার্তায় শ্রীলঙ্কা হামলার দায় স্বীকার]

নেপালের সোলুখুম্ব জেলার পুরসভার তরফে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে৷ ৪৫ দিনের সাফাই অভিযানে ১০ হাজার কেজি বর্জ্য পাহাড়চূড়া থেকে সমতলে নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে৷ মাত্র ১৫ দিনেই বর্জ্যের পরিমাণ ৩ হাজার কেজি৷ সাফাইকর্মীদের ধারণা, নির্ধারিত সময়ের পর সংগৃহীত আবর্জনার পরিমাণ ১০ হাজার কেজি ছাড়িয়ে যাবে৷ নেপালে পর্যটন বিভাগের ডিজি দান্ডুরাজ ঘিমিরে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, ‘আমাদের দল এভারেস্টের বেস ক্যাম্প থেকে কাজ শুরু করেছে৷ ওদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা আমরা করেছি৷ দিনরাত কাজ করতে গিয়ে খাবার, জল নিয়ে অসুবিধা হবে না৷ ওদের থাকারও একটা অস্থায়ী শিবির করা হয়েছে৷ ৩ হাজার কেজি বর্জ্যের মধ্যে হাজার কেজি কাঠমান্ডুতে আনা হবে৷ বাকিটা ওখালদুঙ্গা জেলায় পাঠিয়ে দেব৷ ওখানকার পুরসভা বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ করবে৷’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হিমালয় অঞ্চলের শুধুমাত্র সাউথ কলেই ২ হাজার কেজি আবর্জনা মিলেছে৷ বাকিটা ক্যাম্প টু এবং ক্যাম্প থ্রি থেকে পাওয়া গিয়েছে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন : চাপে পড়ে দেশের মাটিতে জঙ্গিদের অস্তিত্ব মানল পাকিস্তান]

এবার দেখা যাক, কী কী বর্জ্য উদ্ধার হল৷ ঘিমিরের কথায়, প্রচুর অক্সিজেন সিলিন্ডার, অভুক্ত, ফেলে দেওয়া খাবারের প্যাকেট, বিয়ারের বোতল, মানবদেহের বর্জ্য – কী নেই তাতে? ঘিমিরে বলছেন, ‘যাই পাওয়া যাক, সবই আমরা সাফাই করব৷ কারণ, এভারেস্ট শৃঙ্গ বিশ্বের মুকুটের মতো৷ তাকে স্বচ্ছ, শুভ্র রাখাই আমাদের কর্তব্য৷’ যদি অভিযাত্রীরা নিজেরাই এসব বর্জ্য নামার সময় পরিষ্কার করে আনেন, তাহলে কাজ অনেক দ্রুত হয় বলে জানাচ্ছেন ঘিমিরে৷ সাফাইকাজের সময় যদি মৃতদেহও পাওয়া যায়, তাও নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এসব বর্জ্য প্রমাণ হিসেবে কিছুদিনের জন্য নামচি প্রদর্শনাগারে রাখা হবে৷ তারপর আবর্জনার স্তূপ পাঠানো হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য৷ তবে এভারেস্ট সাফাইয়ে নেমে এমন দৃশ্য দেখতে হবে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি কেউ৷ অনেকেই বলছেন, এই মুহূর্তে এভারেস্ট অভিযান বন্ধ রাখা উচিৎ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement