Photo Courtesy: AFP
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাস পরেও জ্বলছে ইউক্রেন (Ukraine)। কিয়েভ-সহ একাধিক শহরে রুশ সেনা অভিযান অব্যাহত। যদিও এর মধ্যেই জেলনস্কির সেনা দাবি করেছে, রাজধানী কিয়েভে লড়াইরত রুশ সেনাবাহিনীর দু’টি দল বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। ওই দু’টি দলকে বেলারুশের দিকে সরানো হচ্ছে। যদিও এইসব দাবি ও পালটা দাবির মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধে গৃহহীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার চাপ পড়তে শুরু করেছে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিকে ছাপিয়ে ইউরোপের অন্য অংশেও। জানা গিয়েছে ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগালে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে পালানো বহু মানুষ।
শুরুতে ইউক্রেনের পড়শি দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, মলডোভার সীমান্তেই আছড়ে পড়ছিল শরণার্থীদের ঢেউ। কিন্তু এবার চাপ পড়তে শুরু করেছে পশ্চিম ইউরোপের (Western Europe) বেশকিছু দেশে। এখনও অবধি শুধুমাত্র মাত্র ফ্রান্সেই (France) আশ্রয় নিয়েছেন ৩০ হাজার শরণার্থী। এই বিষয়ে ফ্রান্সের গৃহ ও আবাসনমন্ত্রী এমানুয়েল ওয়ারগন জানিয়েছেন, শরণার্থীদের জন্য খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে ফ্রান্স সরকার। তিনি বলেন, “আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ১ লক্ষ শরণার্থীর আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” ফ্রান্সের মন্ত্রী জানিয়েছেন, বহু শরণার্থী ফ্রান্স ডিঙিয়ে স্পেন ও পর্তুগালেও আশ্রয় নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে শুরু করে পুতিন বাহিনী। তার পর থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ছেড়ে পালাচ্ছেন মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী সংক্রান্ত বিভাগের (UNHCR) হিসেব বলছে, এখনও অবধি ৩৯ লক্ষ মানুষ দেশে ছেড়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে। এছাড়াও হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, মলডোভা সীমান্তে উপচে পড়ছে অসহায় মানুষের ভিড়ে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ধারণা, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হল ৫০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে পারেন।
এদিকে হঠাৎই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিপাকে পড়া ইউক্রেন পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মানবিক হয়ে উঠল রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে মাঝপথেই ইউক্রেন ছেড়েছিলন এই পড়ুয়ারা। সেই সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে চলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে পাঠরত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা (Medical Students) কোনও এন্ট্রান্স পরীক্ষা ছাড়াই রাশিয়ার মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভরতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে আলাদা করে কোনও বেতনও দিতে হবে না বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.