সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডারউইনের বিবর্তনবাদ নয়, এবার ট্রেন্ডিং উৎসেচকের বিবর্তনবাদ। অর্থাৎ প্রকৃতির কাছ থেকে বিবর্তনের পাঠ নিয়ে এবার প্রকৃতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বৈজ্ঞানিককুল। মানব শরীরে ‘এভোলিউশন অফ এনজাইম’ বা উৎসেচকের বিবর্তন তত্ত্বের খুঁটিনাটি দেখিয়ে এবারের রসায়নে নোবেল জয়। বিজ্ঞানী ফ্র্যান্সেস এইচ আর্নল্ড, জর্জ পি স্মিথ এবং স্যর গ্রেগরি পি উইন্টারকে উৎসেচকের বিবর্তনের জন্য নোবেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ‘দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’। ফ্র্যান্সেস এবং জর্জ মার্কিন নাগরিক। তৃতীয় জন অর্থাৎ বিজ্ঞানী উইন্টার ব্রিটিশ। নোবেল পুরস্কারের ১১৭ বছরের ইতিহাসে ফ্রান্সেস চতুর্থ মহিলা, যিনি রসায়নে তাঁর গবেষণার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন।
[ চোখের চিকিৎসায় বিপ্লব এনে পদার্থে নোবেল তিন বিজ্ঞানীর]
এবছরের নোবেল বিজয়ীরা তাঁদের গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক্স, পেপটাইডের মতো উৎসেচকের গঠন। এবং আরও উন্নতভাবে কীভাবে বিভিন্ন উৎসেচককে কাজে লাগিয়ে মানবজাতি এগোবে সে নিয়ে গবেষণা করেছেন নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী। ফ্রান্সেস কাজ করেছেন এনজাইম বা উৎসেচকের ওপর। যা আদতে প্রোটিন। কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে বা তার গতি শ্লথ করতে সাহায্য করে। যাঁদের আমরা অণুঘটক (ক্যাটালিস্ট) নামে চিনি। স্মিথ ও উইন্টার কাজ করেছেন ‘ব্যাকটেরিওফাজ’ নিয়ে। যা আদতে এক রকমের ভাইরাস। আর তা ব্যাকটেরিয়ার শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতির নাম- ‘ফাজে ডিসপ্লে’।
[ ক্যানসার প্রতিরোধের উপায় বাতলে নোবেল জয় দুই চিকিৎসাবিজ্ঞানীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.