সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) জেলের মধ্যেই মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী সাজিদ মীরকে হত্যার ছক? খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই লস্কর জঙ্গিকে গত বছরের জুন মাসে দোষী সাব্যস্ত করেছিল পাক সন্ত্রাস বিরোধী আদালত। তার পর থেকেই কোট লাখপতের জেলে বন্দি ছিল সাজিদ। সূত্রের খবর, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
২৬/১১ হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের সহযোগী মুফতি কায়সের ফারুককে গত অক্টোবরে করাচির রাস্তায় গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। পরের মাসে প্রায় একই কায়দায় করাচিতেই গুপ্তঘাতকদের হাতে নিহত হয় জইশ-প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ মৌলানা রহিমউল্লা তারিক। গত ১৯ মাসে পাকিস্তানের মাটিতে প্রাণ গিয়েছে ভারত ও আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে থাকা প্রায় ২০ জন পাক জঙ্গির। অধিকাংশই মুম্বই হামলায় জড়িত। এই ঘটনায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর দিকেই আঙুল তুলছে পাকিস্তান।
পাক সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজিদ মীরের হত্যার আশঙ্কায় দেরা গাজি কারাগারে পাঠানোর তোরজোরও চলছিল। তার আগেই ঘটেছে বিষক্রিয়ার ঘটনাটি। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানোর দায়ে ৮ বছরের জেল হয়েছিল সাজিদের। এছাড়াও ৪.২ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা জরিমানা হয়েছিল।
পাকিস্তানে একের পর এক জঙ্গি হত্যার ঘটনায় ‘র’-র পাশাপাশি আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র নামও উঠ এসেছে। উল্লেখ্য, গুপ্তহত্যায় সিদ্ধহস্ত ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। ১৯৭৬-এ মিউনিখ অলিম্পিক্স হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে হামাসের বিরুদ্ধে গুপ্তহত্যার অপারেশনে নেমেছিল তারা। ওই অপরেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন র্যাথ অফ গড’। একই কায়দায় পাকিস্তানে অভিযান চালাচ্ছে সিআইএ এবং র। এমনটাই দাবি পাকিস্তানের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.