ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই হামলার এক দশক অতিক্রান্ত৷ কিন্তু এখনও পাকিস্তানের মাটিতে শান্তিতে বাস করছে এই ভয়ংকর হামলার মূলচক্রীরা৷ এমত পরিস্থিতিতে আবারও মার্কিন নিশানার মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে৷ সমস্ত জঙ্গি সংগঠনকে শীঘ্রই সমূলে বিনাশ করার নির্দেশ দিল পেন্টাগন৷ মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোনে ফকনারের তরফ থেকে এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদের উদ্দেশে৷
[স্যানিটারি ন্যাপকিনের নেশায় বুঁদ ইন্দোনেশিয়ার তরুণ প্রজন্ম!]
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফকনার বলেন, “আমরা ক্রমাগত পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করছি, যাতে হাক্কানি নেটওয়ার্ক-সহ লস্কর-ই-তইবার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাঁরা৷” সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে সব দেশকে সক্রিয় হওয়ার ডাক দিয়েছে আমেরিকা। এর জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তি কার্যকর করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে লস্কর-ই তৈবা ও তার শাখা সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য পাকিস্তানের উপর ফের চাপ বাড়াল আমেরিকা। পাশাপাশি মুম্বই বিস্ফোরণ সম্পর্কে তথ্য দিলেই পুরস্কার হিসাবে মিলবে ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পমপেও। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার দশ বছর পূর্তির আগে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এই ঘোষণা বাস্তবে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টিরই কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরছে জাভায় নিহত ভারতীয় পাইলটের দেহ]
২০০৮-এর ২৬/১১, মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন শতাধিক সাধারণ মানুষ। মৃতদের তালিকায় ছিলেন বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর ফাঁসি হয় এই হামলার অন্যতম চক্রী আজমল কাসভের। হামলার দশ বছর পর সোমবার মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় নিহতদের উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার সঙ্গে যুক্তদের কোনও দিন ক্ষমা করবেন না বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন। ২৬/১১-র ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পুলিশ, সেনা ও সাধারণ মানুষ যাঁরা আক্রান্তদের রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের প্রতি সম্মান জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.