সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে ক্রস্ত গোটা ভারত। প্রাণঘাতী ভাইরাসের কবল থেকে সুস্থ হয়ে যে মানুষ ফিরে আসছে না, তা নয়। এবার তেমনই একটি অভিজ্ঞতার কথা শুনল নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজন্দা হালিতি নামে এক তরুণী তাঁর অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সেই কথাই তিনি লিখেছেন ইন্টারনেটে।
২২ বছরের ওই তরুণী ইটালির বাসিন্দা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আর পাঁচজনের মতো তাঁর শরীরেও যে করোনা ভাইরাস বসা বেঁধেছে তা তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। শুকনো কাশি হয়েছিল তাঁর। তারপর ক্রমশ করোনা তার খেল দেখাতে শুরু করে। দুর্বল হয়ে পড়েন তরুণী। প্রথমদিন শুকনো কাশির পাশাপাশি হালকা কফ ও গলা ব্যথা হয় তাঁর। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় তীব্র মাথা ব্যথা। সঙ্গে দুই চোখে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। তৃতীয় দিন থেকে শুরু হয় জ্বর। বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না তিনি। এই সময় তাঁর শুকনো কাশি, মাইগ্রেন, জ্বর এই সব উপসর্গই দেখা দিতে শুরু করে। এরপর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। অদ্ভুতভাবে চতুর্থদিন জ্বর একেবারে উধাও। শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। মনে হত যেন বুকে উপর কেউ পাথর চাপিয়ে দিয়েছে। এরপরই তিনি করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে এরপর তিনি সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। তাঁর আর কোনও সমস্যা নেই। আর তাই করোনা ভাইরাস নিয়ে কাউকে আতঙ্ক না ছড়িয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানিয়য়েছেন তিনি।
I’m 22 years old and I tested positive for COVID-19.
I’ve been debating on posting, but I want to share my experience especially with those around my age to help bring awareness, and to relieve any stress/anxiety some may have due to the pandemic.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 1: It started with a mild DRY cough and a slightly sore throat. I was very tired that night.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 2: I felt a lot of pressure in my head to the point I would have to cough softly to avoid the discomfort. That night, I experienced the chills and had a fever. One main symptom that stood out to me, my eyes physically hurt. They were tender and sore.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 3: Energy levels VERY low, I only slept, and still ran fevers. At this point, my symptoms were: dry cough, migraine, fever, chills, some nausea. I decided to go to the doctors where I tested negative for the flu and strep.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 4: Finally no more fever, but a new symptom showed up: shortness of breath. It was uncomfortable, it felt like I had bricks on my chest. I tried the self diagnose test I read online (hold your breath and count to 10) which I successfully did with no complications.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 5: Symptoms: sore throat, cough, shortness of breath. I went to the same doctor and I was very adamant about getting tested. Doctor said my vitals were “unremarkable” but I wasn’t going to take no for an answer! I also requested chest X-rays, everything came out normal.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 6 – With the continued use of antibiotics and ibuprofen, my symptoms were: sore throat, cough, shortness of breath. My energy levels began to increase.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
Day 6 – With the continued use of antibiotics and ibuprofen, my symptoms were: sore throat, cough, shortness of breath. My energy levels began to increase.
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
My DM’s will be open to those who have questions, I hope this was helpful. I wanted to let ppl know that if I got through it, so can you!!! Don’t panic if you are feeling symptoms. Take initiative and follow CDC guidelines. We’re going to get through this!
— Bjonda Haliti (@baeonda) March 18, 2020
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে এখন গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো ছুঁই ছুঁই। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন। তাঁরা পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও বিহারের বাসিন্দা। এছাড়া রাজস্থানের জয়পুরে এক ইটালির পর্যটক মারা গিয়েছেন। দেশের অবস্থা বেশ সঙ্গীন। সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে এই সময় বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ২২ বছরের ইটালির তরুণী সেই কথাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.