নয়টি শিবির চালাচ্ছে জইশ-ই-মহম্মদ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা। মুখে শান্তির বুলি আওড়ালেও পাক মাটিতেই অবাধে চলছে জেহাদিদের প্রশিক্ষণ। এই মুহূর্তে অন্তত ২২টি জঙ্গি শিবির সক্রিয় পকিস্তানে। এর মধ্যে নয়টি শিবির চালাচ্ছে জইশ-ই-মহম্মদ।এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের এক শীর্ষ আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে একটি জনসভায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, দেশের মাটিতে কোনও জঙ্গি সংগঠনকে সন্ত্রাস চালাতে দেওয়া হবে না। যদিও নয়াদিল্লির দাবি, এখনও পাকিস্তানে রয়েছে ২২টি জঙ্গি ঘাঁটি। এর মধ্যে ন’টিই জইশ-ই-মহম্মদের। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এই দাবি করেছেন ভারতীয় আধিকারিকেরা। এরপর পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের উপর লাগাম না টানা হলে, ফের বালাকোটের আদলে হামলা চালাবে ভারত।” পাশাপাশি ওই আধিকারিক আরও অভিযোগ করেন যে, সব কিছু জেনেও সত্যি স্বীকার করতে চাইছে না পাক প্রশাসন। উলটে যুদ্ধের জিগির তুলে আনবিক দুই শক্তির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাইছে পাকিস্তান। এদিকে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে, আজ অর্থাৎ শনিবার ইসলামাবাদে ফের কাজে যোগ দিচ্ছেন হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া।
এদিকে মুম্বই হামলার মূলচক্রী তথা লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের সঙ্গে কথা বলতে পাকিস্তানের কাছে ভিসা চেয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের দাবি, হাফিজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। গৃহবন্দি হাফিজকে শুক্রবারের নমাজ পড়তে মসজিদেও যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও ভারতীয় আধিকারিকদের দাবি, “জঙ্গিদের গৃহবন্দি করে রাখা মানে তো বিলাসবহুল থাকাখাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। পরিস্থিতি শান্ত হলেই জঙ্গিদের ছেড়ে দেবে পাকিস্তান।” পাকিস্তানের উপর অসন্তুষ্ট আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের উপ-মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরদার পদক্ষেপ করুক পাকিস্তান। সন্ত্রাস রুখতে ইসলামাবাদের উপর চাপ দিয়ে যাওয়া হবে।” এদিকে, শনিবার পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে মর্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। এছাড়াও বালাকোটে নির্ধারিত লক্ষ্যেই আঘাত করে তা ধবংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
[জইশ, জামাত ও লস্কর সেনাবাহিনীর সন্তান, কটাক্ষ পাকিস্তানি নেতার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.