সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের রক্তাক্ত জার্মানি। দক্ষিণ জার্মানির কনস্টাঞ্জের নাইটক্লাবে চলল গুলি। গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী নাইটক্লাবে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। মৃত্যু হয় একজনের, গুলিবিদ্ধ হন পাঁচজন। পুলিশের পালটা গুলিতে হামলাকারীরও মৃত্যু হয়েছে। কেন এই হামলা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। তাদের প্রাথমিক অনুমান, প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামিক ধারায় বিশ্বাসী ছিল আততায়ী।
উইকইন্ডের রাতে ভিড়ে ঠাসা ছিল দক্ষিণ জার্মানির কনস্টাঞ্জের একটি নাইটক্লাব। রাতভর উদ্দামতার মধ্যে কোথাও যেন লুকিয়ে ছিল বিপদ। ভোর রাতে আচমকা সেখানে গুলি চালাতে থাকে এক বন্দুকবাজ। উচ্ছ্বাস মুহূর্তের মধ্যে কান্নায় পরিণত হয়। যে যার মতো পালাতে থাকেন। নাইটক্লাবে থাকা নিরাপত্তারক্ষী হামলাকারীকে বাধা দিলে তাঁকেও গুলি করা হয়। পুলিশ আসার আগে ৩৪ বছরের ওই বন্দুকবাজ আরও কয়েকজনকে গুলি করে। নাইটক্লাবে পুলিশ পৌঁছলে শুরু হয় গুলির লড়াই। এক পুলিশকর্মীও গুলিবিদ্ধ হন। ঘণ্টা খানেক লড়াই চলার পর পুলিশের গুলিতে হামলাকারী লুটিয়ে পড়ে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে নাইটক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রাণহানির ঘটনা অনেকটা এড়ানো যায়। তবে কেন এই হামলা, হামলাকারী একা ছিল নাকি সঙ্গে আরও কেউ ছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। পাশাপাশি এই হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, হামলাকারী প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামি ভাবাদর্শে বিশ্বাসী ছিল। তবে সরাসরি সে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।
ইউরোপ জুড়ে নাশকতার জাল ছড়ালেও জার্মানিতে সেভাবে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। তবে গত বছর থেকে এই ছবিটা বদলাতে থাকে। বার্লিনে বড়দিনের বাজারে ট্রাক নিয়ে এক হামলাকারী পিষে দিয়েছিল ১২ জনকে। গত শুক্রবার জার্মানিতে আশ্রয় না পেয়ে এক ব্যক্তি হামবুর্গে গুলি করেন। মৃত্যু হয়েছিল এক জার্মান নাগরিকের, জখম হন ৬ জন। ভৌগলিকভাবে কনস্টাঞ্জ এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ। সুইজারল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া কনস্টাঞ্জে বাইরের থেকে কেউ ঢুকেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.