সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরোত্তর বাড়ছে জাপানে কোয়ারান্টাইনে রাখা ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আরও দু’জন ভারতীয় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের শিকার হয়েছে বলে খবর। এই নিয়ে সব মিলিয়ে ওই জাহাজে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫২। তাঁদের মধ্যে আবার ভারতীয় ১৪ জন। আপাতত ওই জাহাজে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৭১১জন যাত্রী রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩৮ জন ভারতীয়।
দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, বাকি ভারতীয়ের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বুধবারের মধ্যে। তাঁদের শারীরিক পরীক্ষার সময়ই মঙ্গলবার আরও দুই ভারতীয়ের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। অসুস্থদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত দুই ভারতীয় জাহাজের ক্রু মেম্বার। তাঁদের শরীরে COVID-19 ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আগামিকাল বাকি ভারতীয়ের শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার কথা। আশা করা হচ্ছে, তাঁরা সুস্থই রয়েছেন। যদিও সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকছে ভারতীয় দূতাবাস।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাপানে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে একটি প্রমোদ তরণীকে। নাম ডায়মন্ড প্রিন্সেস। তাতে যাত্রী ও নাবিক মিলিয়ে আছেন ৩৭০০ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই দু’জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে জাহাজে। শেফদের একজন বাঙালি। তাঁর নাম বিনয় কুমার সরকার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁকে যেন নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সোনালি ঠাকুর নামে আর এক ভারতীয় কর্মীও একই আবেদন জানিয়েছেন।
টোকিওয় ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। মারণ ভাইরাস আক্রান্ত চিনকে সাহায্য করতে একটি বিশেষ বিমানে করে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চিনে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল দিল্লি। এ-ও জানিয়েছিল, ফেরার সময়ে উহানে আটকে থাকা বাকি শ’খানেক ভারতীয়কে নিয়ে আসবে তারা। পড়শি দেশের কোনও নাগরিক ভারতের বিমানে ফিরতে চাইলে, তাঁদেরও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত দেখাল না চিন। এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.