সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর ফলে সৃষ্টি হওয়ার পরিবেশে কমবেশি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে সব দেশই। কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে গবেষণাও চলছে নিরন্তর। এর মাঝেই কোনও শোরগোল ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (free trade deal)-তে সই করল চিন-সহ এশিয়ার ১৫টি দেশ। তবে এর মধ্যে নেই ভারতের নাম। তাই এই চুক্তির ফলে তৈরি হওয়া পরিবেশের সাহায্যে বেজিং নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার ভিয়েতনামে আয়োজিত ৩৭তম আসিয়ান সামিট (Asian summit) -এর শেষ দিন ছিল। সেখানে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী এনগুয়েন জুয়াম ফুকের নেতৃত্বে চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশ মিলে ভারচুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (RCEP)-তে সই করে। এর ফলে এই দেশগুলি একে অপরের দেশে কোনও বাধা ছাড়াই বাণিজ্য করার সুবিধা অর্জন করল। করোনার ফলে সৃষ্ট হওয়া অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে এই চুক্তি খুবই কার্যকারী হতে পারে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের একাংশের।
এপ্রসঙ্গে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই চুক্তির ফলে পুরো পৃথিবীকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন এক পথ দেখাল আসিয়ানের দেশগুলি। করোনা মহামারীর ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যের। কিন্তু, এই চুক্তির ফলে সেই বাধা কেটে গিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে। উপকৃত হবেন ২০০ কোটির বেশি মানুষ।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১২ সালে যখন এই চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তখনও এর পক্ষে ছিল ভারত। কিন্তু, পরে চিনের আচরণে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই চুক্তির ফলে নিজেদের শস্তার পণ্য অন্য দেশের বাজারে বিক্রি করতে চাইছে তারা। এর ফলে সেই দেশগুলির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গত বছর এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.