সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যথারীতি নিজের জওয়ানদের দেহ নিতে অস্বীকার করল পাকিস্তান। গত কয়েকদিনে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয় প্রায় ৭ পাক সেনাকে। তারপরই মৃতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেহগুলি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের কাছে আরজি জানায় ভারত।
[আরও: বেনজির ‘অস্থিরতা’ কাশ্মীরে, মাঝরাতে গৃহবন্দি ওমর আবদুল্লা-মেহবুবা মুফতি]
গত ৩১ জুলাই থেকে ১ অগস্টের মধ্যে কেরান সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনা। টানা ৩৬ ঘণ্টা গোলাবর্ষণের মধ্যে পাক সেনা ও জঙ্গিদের ৭ সদস্যের মৃত্যু হয়। নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে মিলেছে ৭ জনের দেহ। তবে কেরন সেক্টরে লাগাতার ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে পাক কমান্ডোরা। ‘ব্যাট’ বা বর্ডার অ্যাকশন টিম-এর নিহত সদস্যরা ভারতীয় সেনার আউটপোস্টে হামলা চালিয়েছিল। কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটাতে প্রায়ই ‘ব্যাট’ জওয়ানদের হামলার নির্দেশ দেয় পাকিস্তান। তবে ভারতীয় জওয়ানদের পালটা গুলিতে তাঁদের আর প্রাণ নিয়ে ফের হয়নি তাঁদের। বিদেশেই পড়ে থাকে তাঁদের নিথর দেহ। শত্রুপক্ষের হলেও নিহত পাক জওয়ানদের যথাযত মর্যাদা দিয়ে দেহগুলি ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত। তবে নিহতরা তাঁদের দেশের সেনা নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় পাক সেনাবাহিনী। একই সুর শোনা যায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের গলায়ও। পালটা প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, সীমান্ত রেখায় নিরপরাধ নাগরিকদের মেরে এবং গোলাগুলি বর্ষণ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে ভারত। ১৯৮৩ সালের ‘কনভেনশন অন সার্টেন কনভেনশ ওয়েপনস’ (সিসিডব্লিউ)-র চুক্তি ভাঙার অভিযোগ আনেন ইমরান খান। আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীরে শান্তির বার্তা দিয়ে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি।
কিন্তু গত কয়েকদিনে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতা ঘটানোয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ মিলেছে। সেনার দাবি, অমরনাথ যাত্রা পথে যে ল্যান্ডমাইন্ড এবং স্নাইপার রাইফেল মিলেছে, তা জঙ্গিদের সরবরাহ করেছে পাক সেনা। সে দেশের সেনার মদতে বেশ কিছু জইশ জঙ্গিও অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। গতকাল শোপিয়ানে জঙ্গি-নিরাপত্তারক্ষীর গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে জ়িনাত উল ইসলাম নায়কু নামে এক জইশ জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জইশ জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের খবরে জারি চরম সতর্কতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.