কনে-সাজ ঝলমলিয়ে ওঠে গয়নার বাহারে। গয়না ছাড়া বিয়ের সাজ যে অসম্পূর্ণ, তা সকলেই জানেন। সে ভারী হোক বা হালকা, বিয়ের কেনাকাটায় গয়না মাস্ট। কানপাশা, মানতাসা, টিকলি, টায়রা, জড়োয়া, কুন্দন, বালা, নথ, সীতাহার নানা কিসিমেয় গয়নায় জীবনের বিশেষ দিনে সেজে ওঠেন কনেরা। সেই গয়না যেমন সাজের সঙ্গী, তেমনই আগামীর সঞ্চয়ের রসদও বটে। কনের সেই গয়নার বাক্সে বরং উঁকি দেওয়া যাক।
প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, বিয়ে যেমন জীবনের বন্ধন, তেমনই গয়নার সেটে আভিজাত্য-নতুনত্বের মেলবন্ধন কিন্তু আবশ্যিক। তবে মাথায় রাখতে হবে বাজেটের ব্যাপারও। দিনকাল বদলেছে, পাল্লা দিয়ে গয়নার নকশায় এসেছে নানা পরিবর্তন। এক সময় বিয়ের গয়না মানেই ছিল গা-ভর্তি সোনার গয়না। এখন কিন্তু সোনার পাশাপাশি কুন্দন, মিনাকারি, পাথর সেটিং রুপো বিয়ের গয়নার গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ভারী গয়নার বদলে অনেকেই আবার বেছে নিচ্ছেন হালকা কাজের ট্রেন্ডি গয়না।
তবে সোনার গয়নার আবেদন কিন্তু ছিটেফোঁটাও কমেনি। এই মুহূর্তে বিয়ের গয়নার বাজারে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে রোজ গোল্ড। গলার গয়নায় এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় জড়োয়া। বিয়ের পিঁড়িতে বসার সময় যাঁরা খুব বেশি গয়না পরবেন না বলে মনস্থ করেছেন, তাঁদের একটা ভারী জড়োয়া সঙ্গে সীতাহার বা তিন-চার লহরের মালাতেই সাজ কমপ্লিট। অন্যদিকে, ট্র্যাডিশনাল নকশা করা সোনার রুলি, বালা, চুড় এখনও পছন্দের রালিকায় শীর্ষে। সেই সঙ্গে স্টোন আর কুন্দনের চুড়ির কদরও কিন্তু কনেদের কাছে কমেনি। তবে ঝাপটার ক্ষেত্রে সোনার প্রচলন এখন নেই বললেই চলে। তার বদলে গোল্ড প্লেটে বাহারি নকশায় কুন্দন, পুঁতি, মুক্তো, পাথর দিয়ে ডিজাইন করা হয়। নথের সঙ্গে স্টোনের ফুল, পার্ল পুঁতির ব্যবহার বেশ নজর কাড়ছে। এ ছাড়া টিকলির নকশায় এসেছে বৈচিত্র্য। পার্ল কুন্দনের ব্যবহার এখন আকছার। সাজের সঙ্গী এই গয়নার সঙ্গেই যেন জড়িয়ে বিয়ের দিনের স্মৃতি। ফলত কনের কাছে এই গয়না চিরকালই স্পেশাল। একই সঙ্গে সোনার দাম যেভাবে দিন দিন বাড়ছে, তাতে কনের গয়নার বাক্স যে অর্থনৈতিক দিক থেকেও বেশ স্পেশাল, তা বোধহয় বলাই যায়।
(প্রতিবেদনটি ‘ছাঁদনাতলা’ ফিচারের অংশ।)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.