রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: ভোটের সময় শহরের ফাঁকা দেওয়ালগুলি হয়ে ওঠে রাজনৈতিক ক্যানভাস। ফাঁকা দেওয়াল দেখলেই সাদা চুনকাম করে দখল নেয় রাজনৈতিক নেতারা। পদ্ম, ঘাসফুল,হাত,কাস্তে-হাতুরি-তারায় ভরে ওঠে দেওয়াল। আর ভোট মিটতেই ফিকে হয়ে যাওয়া দেওয়ালই দৃশ্য দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর কালনার মতন পর্যটনকেন্দ্রের জন্য এটি ভাল বিজ্ঞাপন হতে পারে না। তাই ভোট পরবর্তী সময়ই দৃশ্য দূষণ রুখতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন কালনা পুরসভার তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দেওয়াল লিখন নয়, কালনা শহরে ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে দলের প্রতীক, ছবি, কার্টুন, ছড়া ছাপানো ফ্লেক্স। ভোটে মিটলেই আবার সেই ফ্লেক্সগুলি খুলে নেওয়া হবে। এমন অভিনব উদ্যোগে খুশি শহরবাসী।
[ আরও পড়ুন: কৌটো হাতে ভোটে লড়ার টাকা তুলছেন জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর]
জানা গিয়েছে, দেওয়ালের মাপ নিয়ে প্রায় ১০০টির মতো ফ্লেক্স কালনা পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে লাগানো হয়েছে। কালনা শহর ও পর্যটন কেন্দ্রের আশপাশের দেওয়ালগুলিতেই চুন, রঙের পরিবর্তে দেওয়ালে ফ্লেক্স সাঁটাচ্ছে তৃণমূল। চুন-রঙ থেকে ফ্লেক্সের খরচ বেশি হলেও শহরের সৌন্দর্যায়নে তাঁরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে দাবি করছে তৃণমূল। তাঁদের কথায়, ফ্লেক্স বলে যে দেওয়ালে লিখনের থেকে কম প্রভাব এমন নয়, বরং চকচকে ফ্লেক্সই বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে মানুষদের। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “এই ফ্লেক্স দেওয়াল লিখনের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল, মানুষকে আকৃষ্ট করে বেশি। তবে এর সব থেকে ভাল গুণ ভোট হয়ে গেলেই আমরা এগুলো দেওয়াল থেকে খুলে দিতে পারব। ঐতিহ্যের কালনার শহরে দৃশ্য দূষণ ঘটবে না।” কালনার এক বাসিন্দার কথায়, অনেকই বাড়ির সামনে কোনও রাজনৈতিক দেওয়াল লিখন পছন্দ করেন না। কিন্তু নেতারা বাড়ির সামনের দেওয়ালে লিখলে বারণও করতে পারেন না। কিন্তু এই দেওয়ালে লাগানো ফ্লেক্স যেহেতু খোলা যায়। তাই দেওয়ালে কোনও ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
ছবি: মোহন সাহা
[ আরও পড়ুন: ভোট আসতেই বন্দুক সামলাতে নাকাল বৃদ্ধ, চাইছেন দায়িত্ব থেকে মুক্তি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.