সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট হাই কোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেলের আবেদন নাকচ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ফলে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা শেষ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। শাস্তি স্থগিতের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হার্দিক। দ্রুত সেই মামলার শুনানি করার জন্য সোমবার শীর্ষ আদালতে আবেদনও জানান তিনি। কিন্তু এদিন তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
[আরও পড়ুন: ওমরের ‘স্বাধীন কাশ্মীর’-এর মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ নেতা গম্ভীরের]
দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের সাজা পেলে কোনও ব্যক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ নিতে পারবেন না বলে জনপ্রতিনিধি আইনে উল্লেখ রয়েছে। ২০১৫ সালে পাতিদার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় হার্দিক প্যাটেলের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে। মেহসানার দায়রা আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। দু’বছরের জন্য জেলও হয়। শাস্তি স্থগিতের আবেদন জানিয়ে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হার্দিক প্যাটেল। কারণ, ২০১৮ সালের আগস্টে গুজরাট হাই কোর্ট জানায়, হার্দিককে জেলে থাকতে হবে না, তবে সাজা বহাল থাকবে। সেই শাস্তির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি।
কিছুদিন আগেই কংগ্রেসে যোগ দেন হার্দিক। লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ে গুজরাট হাই কোর্টে শাস্তি স্থগিতের আবেদন করেছিলেন তিনি। গত শুক্রবার সেই আরজি হাই কোর্ট খারিজ করে দেয়। গুজরাত হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন হার্দিক। আগামী ২৩ এপ্রিল গুজরাতে লোকসভা নির্বাচন। এই ভোটে অংশ নিতে চাইলে ৪ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হার্দিক প্যাটেলের ভোট-ভাগ্যে জল পড়ল বলেই অনুমান।
[ আরও পড়ুন: নিজেকে ‘বিজেপি কর্মী’ পরিচয় দিয়ে নির্বাচন কমিশনের রোষে রাজস্থানের রাজ্যপাল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.