রাহুল চক্রবর্তী: রাজ্যে দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস। এর আগেই ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন আরও ২৫ আসনে ঘোষণা করা হল প্রার্থীর নাম। এখনও তমলুক, যাদবপুর, বাঁকুড়া, ঘাটাল, আসানসোল এবং কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ২টি আসনে বামেদের সমর্থন করবে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর মিতা চক্রবর্তী, তিনি লড়ছেন কলকাতা দক্ষিণ আসন থেকে। স্থান পেয়েছেন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাতাতো। পুরুলিয়া আসন থেকে লড়বেন তিনি। বসিরহাট আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল, ওই আসনটিতে প্রত্যাশামতোই প্রার্থী হয়েছেন নেপাল মাহাতো। প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ছাত্রপরিষদ নেতা সৌরভ প্রসাদ, দলীয় মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ও।
একনজরে কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা:
কেন্দ্র প্রার্থীর নাম
কৃষ্ণনগর ইনতাজ আলি শাহ
রানাঘাট মিনতি বিশ্বাস
বনগাঁ সৌরভ প্রসাদ
বারাকপুর মহম্মদ আলম
দমদম সৌরভ সাহা
বারাসত সুব্রতা দত্ত (রাশু)
বসিরহাট কাজি আবদুর রহিম
জয়নগর তপন মণ্ডল
মথুরাপুর কৃত্তিবাস সর্দার
ডায়মন্ড হারবার সৌম্য আইচ রায়
কলকাতা দক্ষিণ মিতা চক্রবর্তী
হাওড়া শুভ্রা ঘোষ
উলুবেড়িয়া সোমা রানিশ্রী সরকার
শ্রীরামপুর দেবব্রত বিশ্বাস
হুগলি প্রতুল সাহা
আরামবাগ জ্যোতি দাস
কাঁথি দীপক কুমার দাস
ঝাড়গ্রাম যজ্ঞেশ্বর হেমব্রম
মেদিনীপুর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়
পুরুলিয়া নেপাল মাহাতো
বিষ্ণুপুর নারায়ণ চন্দ্র খাঁ
বর্ধমান পূর্ব সিদ্ধার্থ মজুমগার
বর্ধমান-দুর্গাপুর রণজিত মুখোপাধ্যায়
বোলপুর অভিজিত সাহা
বীরভূম ইমাম হোসেন
ছেড়ে দেওয়া পাঁচ আসনের মধ্যে যাদবপুর এবং বাঁকুড়ায় বামেদেরই সমর্থন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ব্যাখ্যা, যাদবপুর আসনটিতে ব্যক্তি হিসেবে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সমর্থন করছে কংগ্রেস। তিনি বলেন,” বাংলায় চিটফান্ড নিয়ে যে মামলাগুলি চলছিল, তাঁর মামলাকারী ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাঁর হয়ে মামলা লড়েছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তাই তাঁকে সমর্থন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাঁকুড়া আসনটিও বামেদের সমর্থন করা হবে।” কিন্তু নিজের খাসতালুক উত্তর কলকাতায় এখনও প্রার্থী কেন দেওয়া হল না? তাতে সোমেনবাবুর সংক্ষিপ্ত উত্তর, ” আমি দিল্লিতেই আছি, কলকাতা উত্তর আসনটি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব।”
তমলুক আসনটি ফাঁকা থাকা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাক্তন সিপিএম নেতা লক্ষ্ণণ শেঠের কংগ্রেস যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও, কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই একাংশ লক্ষ্ণণকে দলে নেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে যদি দলে নেওয়া হয়, তাহলে ওই আসনে তাঁকেও প্রার্থী করা হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.