সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোক না আলাদা দল, আলাদা নীতি়, এমনকী প্রচারের পদ্ধতিতেও থাকুক একে অপরের প্রতি আক্রমণাত্মক ভাব। কিন্তু খাবার? সেই তালিকা তো মিলে যেতেই পারে লাল-সবুজ-কিংবা গেরুয়া শিবিরের। তা ভেবেই নির্বাচনের আগে সব দলের ভোটার ও প্রার্থীদের জন্য ‘ভোটের খাবার’ নিয়ে হাজির পাটুলির এক রেঁস্তোরা।
ক্রমশ উত্তাপ বাড়াচ্ছে ভোটযুদ্ধ। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ বাড়াচ্ছে সূর্যও। আর সেসব উপেক্ষা করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী, কর্মী সমর্থকরা। তাই তাদের এখন প্রয়োজন স্পেশ্যাল মেনু। যা স্বাস্থ্যকর একইসঙ্গে সুস্বাদুও। এবার ভোটের বাজারে নকুলদানার ইতিমধ্যেই হিট, মিহিদানাও বেশ নজর কেড়েছে৷ তাই খাবারের পদেও রয়েছে এই দু’টি৷ তারপর লুচি আলুরদম থেকে দিদির প্রিয় চা-মুড়ি – সব আপন করে নিচ্ছেন তারকা প্রার্থীরা। অনুব্রতর পাল্টা মিহিদানা বিলোচ্ছেন অনুপম। আর এইসব খাবারের সম্ভার নিয়ে মধ্যপ্রদেশে ভোট দিতে বললেন রেস্তোরাঁ মালিক অঞ্জনা দত্ত। সেইসঙ্গে তেলহীন চাইনিজের দিকেই সায় দিলেন তিনি। নেপথ্যে ‘ভোটের খাবার’ ।
এইসব খাবার সামনে রেখেই ভোটের মরশুমে ‘ভোটের খাবার’ শুরু করেলেন পাটুলির বাসিন্দা অঞ্জনা দত্ত। মাস তিনেক আগে ‘ইউয়ান’ নামে একটি রেস্তোরাঁ শুরু করেন তিনি। সেখানে গেলেই পাওয়া যাচ্ছে এই ভোটের খাবার। দামও মধ্যবিত্তের নাগালে। গ্রিন-টি খেতে খরচ করতে হবে ২৫ টাকা, একবাটি ঝালমুড়ির দাম ১৮ টাকা। মিহিদানা এক প্লেট পাওয়া যাবে ৩৫ টাকায়। অঞ্জনা বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে দেখছি বড় নেতা বা প্রার্থীরা প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন খাবার খাচ্ছেন। সেগুলি অস্বাস্থ্যকর। তাই তেল-ঝাল ছাড়া খাবার তৈরি করছি আমরা। যার মধ্যে রয়েছে বয়েলড চিকেন, চিকেন ক্লিয়ার স্যুপের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারও। দামও কম। এসবের পাশাপাশি রয়েছে আমপোড়া সরবতও।’ আগামী ২১ এপ্রিল এই রেস্তোরাঁয় ভোজ সারতে যাবেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। তবে শুধু নেতারাই নন, তীব্র দাবদাহে হালকাফুলকা খেতে সাধারণ মানুষও ঢুঁ মারতেই পারেন ওই রেস্তোরাঁয়, জানালেন কর্ণধার অঞ্জনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.