Advertisement
Advertisement
Political parties

বড় সমস্যা বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট বৈতরণী পার করার লক্ষ্যে সব পক্ষ

কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিই ভোটের সংখ্যা বাড়াবে, সেটা ইস্তেহারেই স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।

West Bengal assembly polls: Political parties promise job to attract young voters । Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:April 3, 2021 6:25 pm
  • Updated:April 3, 2021 6:25 pm  

মলয় কুণ্ডু:  মেধাবীরা ভিন রাজ্যে চলে যান। ভালো চাকরির সন্ধানে। সামান্য রুজি-রুটির সন্ধানে অন্য রাজ্যে পাড়ি দেন গ্রামের ছেলেরা। বাম আমল থেকে তৃণমূল(TMC) সরকার, বারবার বিবিধ প্রসঙ্গে উঠে আসে একটাই কথা, এ রাজ্যে নাকি কাজ নেই। অথচ নতুন প্রজন্ম কাজ চায়। সেটা বুঝেছে সব দলই।

তাই কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি যে ভোটের সংখ্যা বাড়াবে, সেটা ইস্তেহারেই স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এবার নতুন ভোট(Election) বেড়েছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩। যা মোট ভোটারের প্রায় ২.০১ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া নয়া প্রজন্মকে তাই কর্মসংস্থানের কথা বলে নিজের দিকে টানতে চেষ্টার কোনও কসুরই বাকি রাখছে না। একদিকে গত সাড়ে ন’বছরে রাজ্যে কর্মসংস্থানের নজির তুলে ধরে ভোটে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, নয়া প্রজন্মের কাছে শিল্প ও কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিজেপি। এই লড়াইতে বাদ যাচ্ছে না বামেরাও। সিঙ্গুর কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির উদাহরণ তুলে তাঁরাও প্রচারে জোর দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুব সমাজের ভোট যে দিকে থাকবে, তার দিকে পাল্লা ঝুঁকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement
[আরও পড়ুন:‘ঠিকমতো নামই জানেন না মমতা’, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রথম শহিদের পরিবার ঝুঁকে শুভেন্দুর দিকে]

তৃণমূলের দাবি, ওএনজিসি-র তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন, দেউচা পাচামির কয়লা খনন ও উত্তোলন, বিশেষ শিল্প করিডর, সিলিকন ভ্যালিতে বিভিন্ন আইটি এবং টেলিকম সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ, তাজপুর সমুদ্র বন্দর, সিঙ্গুর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, হাসিমারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, এমএসএমই–সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কাজের সুযোগ বাড়ছে। রাজ্যের অনুর্বর, পতিত জমি কাজে লাগিয়ে মৎস্যচাষ, উদ্যানপালনসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। গত বছরে ১৩ হাজার একর জমির উপর ১৯৪২টি জায়গায় ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। আগামী বছরে আরও ১৪ হাজার একর জমির উপর এই পরিকল্পনা করে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত দশ বছরে একশো দিনের কাজে ৭.২৪ কোটি গ্রামের মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে এবং এই দশ বছরে ১ কোটি ১২.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে মধ্যে সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে এবং স্বনিযুক্তিমূলক কর্মসংস্থান ধরে ১.৫ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে বলে দাবি। অন্যদিকে, ভোটে জিতলে রাজ্যে কর্মসংস্থান কেমন হবে, নতুন প্রজন্মের জন্য তার রূপরেখাও বিজেপি ইস্তেহারে জানিয়ে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিটি ব্লকে নেতাজি বিপিও স্থাপন, ১০ হাজার নতুন স্টার্ট আপে ২৫ লক্ষ পর্যন্ত ভর্তুকিযুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।

[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার ৩০ আসনে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে? কী বলছে গ্রাউন্ড রিপোর্ট?]

পাশাপাশি, লড়াইয়ে নেমে বামেরাও নয়া প্রজন্মকে তারাও কাছে টানতে চেষ্টা চালাচ্ছে। ইস্তেহারে বামেদের ঘোষণা, সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে একদিকে যেমন শূন্যপদ পূরণ করা হবে, তেমনই শিল্পায়নের যে উদ্যোগ তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের ছিল, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মূলত, সরকারি ক্ষেত্রে শিক্ষা, পুলিশে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।কর্মসংস্থানের স্বপ্ন ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলল, তা বোঝা যাবে ফল বের হলে। কিন্তু এই ইস্যু যে ভোট টানবে, তা বুঝেছে সব পক্ষই। সেই লক্ষ্যেই চলছে প্রচারও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement