স্টাফ রিপোর্টার: ‘মান্ধাতা যুগে’ তৈরি হয়েছে ডিভিসি সেচখাল৷ তারপর কার্যত কোনও সংস্কারই হয়নি৷ যার ফলে সেচের পর্যাপ্ত জল মেলে না কৃষিজমিতে৷ আবার সেচখালে জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় জল উপচে রাজ্যে চার-পাঁচটি জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়৷ সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকারে বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় বৃহৎ সেচ প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷
শুক্রবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে এই প্রকল্পের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় দু’হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা৷ যার মধ্যে বিশ্বব্যাঙ্ক দেবে ৭৯ শতাংশ ও বাকিটা রাজ্য সরকারে দেবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পঞ্চবার্ষিকী এই পরিকল্পনার বিষয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়েছে৷ প্রকল্প অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে৷ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের সেচ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে৷ পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণও করা যাবে৷” বর্ধমান জেলার গ্রামীণ অংশ কৃষিতে উন্নত৷ কৃষিতে উৎপাদন ডিভিসির জলের উপর অনেকটা নির্ভর করে৷ ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে ডিভিসির বিভিন্ন সেচখাল তৈরি হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেচখালগুলি ডিভিসি সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কার করেনি৷ ফলে সেচখালগুলি মজে গিয়ে জলধারণ ক্ষমতা বা নাব্যতা কমে গিয়েছে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.