Advertisement
Advertisement

প্রয়োজনে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের

এখনই জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করলে আরেক ২৯ সেপ্টেম্বরের সাক্ষী থাকতে হবে ইসলামাবাদকে৷

Will breach LoC to hunt terrorists, India tells Pakistan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 10, 2016 2:59 pm
  • Updated:October 10, 2016 2:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ ভারতের কাছে এখন আর অলঙ্ঘনীয় নয়৷ ইসলামাবাদকে স্পষ্ট বার্তা নয়াদিল্লির৷ পাকিস্তান অবিলম্বে জঙ্গি রফতানি ও জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করলে আরেক ২৯ সেপ্টেম্বরের সাক্ষী থাকতে হবে পাকিস্তানকে৷ ভারতীয় সেনা ফের একই কায়দায় নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড ধূলিসাৎ করে দেবে৷ এটাই ভারতের নয়া নীতি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা সোমবার এই খবর জানিয়েছেন৷

তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি এখন ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়ের চেয়ে অনেকটাই আলাদা৷ সে সময় পাক সরকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গিয়ে সেনা অভিযান চালায়নি ভারত৷ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন সে সময় মন্তব্য করেছিলেন, “রক্ত দিয়ে সীমান্ত আঁকা উচিত নয়৷” কিন্তু স্বাধীনোত্তর পাকিস্তানের স্বভাব এতটুকু পাল্টায়নি৷ ভারতের মাটিকে রক্তাক্ত করতে লস্কর জঙ্গিদের প্রত্যক্ষভাবে মদত দিয়ে এসেছে পাক সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই৷ মুম্বইয়ে, পাঠানকোট ও উরির সেনাঘাঁটিতে হামলা-একের পর এক ঘটনায় ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে৷ এখন ভারতের নীতি, মারের বদলে পাল্টা মার৷

Advertisement

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি অবিলম্বে ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি রফতানি বন্ধ না করে, তাহলে ভারতও নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি নিকেশ করবে৷ ২০০৪ সালে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ আশ্বাস দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ভারতে জঙ্গি আক্রমণে উৎসাহ দেওয়া হবে না৷ কিন্তু মুশারফের উত্তরসূরীরা কথা রাখেননি৷ গত পাঁচ বছরে নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে পাকিস্তান৷ বেড়েছে পাক সেনাবহর, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দও৷ ২০০৬ হোক বা ২০০৮, পাকিস্তানের ছোট-বড় হামলার নজির থামেনি৷ উরির ঘটনার পর পাকিস্তান স্বাভাবিকভাবেই আঁচ পেয়েছিল ভারত এবার মরণকামড় বসাতে পারে৷ সেই মতো জঙ্গিদের পাক সেনাঘাঁটির আরও কাছাকাছি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নিরাপত্তা প্রদানের চেষ্টাও হয়েছিল৷ কিন্তু ভারতীয় জওয়ানরা পাক রেঞ্জার্সের চোখে কার্যত ধুলো দিয়ে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে, নিকেশ করেছে অন্তত ২০ লস্কর জঙ্গিকে৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রতিরক্ষায় ভারতও এখন কারও চেয়ে কম নয়৷ জলপথে একাধিক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, আকাশে ব্রহ্মস, সুখোই ও ভূমিতে গরুড়-মার্কোসের মতো বাহিনী নিয়ে ভারত আজ বিশ্বের যে কোনও দেশের সঙ্গে সমর কৌশলে পাল্লা দিতে পারে৷ ডিআরডিও-র অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সাহায্য ভারতীয় সেনাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে৷ এই পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে ফ্রন্টফুটে খেলবে, সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও৷ ভারতীয় সেনার গায়ে হাত পড়লে যে পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে এক মুহূর্ত দেরি করা হবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷

অন্যদিকে, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ সোমবার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কয়েকটি পাক সেনাঘাঁটিতে যান৷ হাজি পির সেক্টরে গিয়ে পাক সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখায় সফরে এলনে তিনি৷ পাক সেনাবাহিনী এক বিবৃতি জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাহিনীর প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান৷ সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি, চকিত হামলা প্রতিরোধের মতো খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় কমান্ডারদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি৷ পাক সেনাদের প্রতিরক্ষা, কড়া নজরদারির প্রশংসা করেন তিনি৷ ভারতীয় সেনাপ্রধান দলবীর সিং সুহাগের নিয়ন্ত্রণরেখায় সফরের এক সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে সফরে গেলেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ৷ এই সফরের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পালটা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাক সেনা?

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement