স্টাফ রিপোর্টার: ঠিক এক বছর আগের কথা৷ ৩১শে মার্চের দুপুর৷ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের নিচ দিয়ে তখন গতি বাড়িয়ে ছুটছিল গাড়ি৷ ফুটপাথ ঘেঁষে হাঁটছিলেন পথচারীরা৷ আগের দিন রাতেই উড়ালপুলের দুটি অংশ জোড়ার কাজ হয়েছে৷ নির্মীয়মাণ ফ্লাইওভারের তখন পুরোদমে কাজ চলছে৷ সর্বত্রই চরম ব্যস্ততা৷ হঠাৎই কান ফাটানো শব্দ৷ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল উড়ালপুলের একাংশ৷ সব শেষ৷ মুহূর্তের নিস্তব্ধতা৷
চাপা পড়লেন কতজন? চিৎকার, আর্তনাদ৷ যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া৷ চাপা পড়েছিল গাড়ি, লরিও৷ চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিল মানুষের দেহের অংশ৷ হাত, পা, মাথা ছিন্ন-ভিন্ন৷ রক্ত মিশে গিয়েছিল সিমেন্ট, বালি ইঁট, লোহার রডে৷ উড়ালপুলের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের৷ একবছর পার৷ তবুও এখনও একইভাবে ভেঙে পড়ে উড়ালপুলের ধ্বংসস্তূপ৷ জোড়া লাগেনি উড়ালপুলের দুটি দিক৷ ভাঙাও হয়নি পুরোটা৷
রাইটস থেকে শুরু করে আইআইটি খড়গপুর– সবাই সমীক্ষা করে এই উড়ালপুল ভাঙার কথা বলেছে৷ অভিযোগ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই ফ্লাইওভার থেকে চুরি গিয়েছে অনেক কিছু৷ এই উড়ালপুলের ভবিষ্যত্ কী তাও জানেন না কেউ৷ কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, ব্রিজটা তৈরির সময় প্রায় ১২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল৷ এখন ভেঙে এলাকা সাফাই করতে গেলে খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা৷ কে দেবে টাকা? উত্তর মেলেনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.