Advertisement
Advertisement

বিজয়ায় সুগার ফ্রি মিষ্টি, হাসপাতালে পুজোর মেনুতে বিপ্লব!

সপ্তমীতে চাটনি-পাঁপড়, অষ্টমীতে পায়েস...

West Bengal Government Hospitals present special Durga Puja dishes to patients
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 14, 2016 8:58 am
  • Updated:October 14, 2016 8:58 am  

গৌতম ব্রহ্ম: সপ্তমীতে চাটনি-পাঁপড়, অষ্টমীতে পায়েস, নবমীতে মাংস-পনির, দশমীতেও পায়েস৷

মেডিক্যাল কলেজের মেনুতে নিঃশব্দ বিপ্লব নিয়ে এল দুর্গাপুজো৷ ঢাকের বাজনা শুনতে শুনতে পাঁপড়-চাটনি-পায়েসে ভোজ সারলেন রোগীরা৷

Advertisement

প্রাতঃরাশে দুধ-ডিম-কলা৷ দুপুরে মাছ-ভাত৷ রাতে ডিম-ভাত৷ এই মেনুতেই অভ্যস্ত রোগীরা৷ খাবারের মান, পরিমাণ নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ জানান রোগীরা৷ স্মারকলিপিও জমা পড়ে সুপারের কাছে৷ এটাই চেনা ছবি৷ সেটাই পুজোর ক’দিন আমূল বদলে গেল৷ সপ্তমীর দিন হঠাৎই শেষ পাতে পড়ল চাটনি-পাঁপড়৷ অষ্টমীর দিন এক বাটি করে পায়েস৷ নবমীতে মাংসের সঙ্গে পনির৷ দশমীতে ছিল তিনটি অতিরিক্ত পদ৷ চাটনি-পাপড় ও পায়েস৷

মেনুর এই পরিবর্তন রোগীর শারীরিক যন্ত্রণা কতটা লাঘব করেছে তা জানার উপায় নেই৷ তবে, মনে প্রফুল্লতা এনেছে৷ পুজোর দিনগুলিতেও হাসপাতালে শুয়ে থাকার কষ্ট কিছুটা হলেও কমিয়েছে৷ এমনটাই দাবি করেছে মেডিক্যাল কলেজগুলি৷ পিজি হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যল কলেজ, আরজি কর, এনআরএস, চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল, বি সি রায় শিশু হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, সর্বত্রই এই পায়েস-চাটনি-পাঁপড়ের সুখ্যাতি৷ জানা গেল, রাজ্য সরকারের তরফে পুজোর আগে এমনই এক নির্দেশ জারি করা হয়েছিল৷ মেডিক্যাল কলেজগুলিতে খাদ্য পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা ‘সোনার বাংলা’ নামক এজেন্সিকে বলা হয়েছিল ‘স্পেশাল মেনু’-র ব্যবস্থা করতে৷ সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়েই মেনুতে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে৷ এমনটাই জানালেন সংস্থার সুপারভাইজার তরুণকুমার দে৷ পিজিতে অবশ্য বাড়তি ব্যবস্থা ছিল৷ পিজির সুপার ডা. করবী বড়াল জানালেন, “সপ্তমী থেকে শুরু হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলেছে ‘স্পেশাল মেনু’৷ এদিন চিকেন দেওয়া হয়েছে রোগীদের৷ সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছিল ‘সুগার ফ্রি’ সন্দেশ৷ বিজয়াতে মিষ্টিমুখ না হলে হয়?”

পুজোর সময় এমনিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর চাপ কমে যায়৷ অনেকেই ‘ছুটি’ নিয়ে বাড়ি চলে যান৷ বাকিরা পড়ে থাকেন হাসপাতালে৷ স্বজন-পরিবার থেকে দূরে৷ উৎসবের দিনগুলিতে রোগীদের মনে সন্তুষ্টি আনতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে মেনুতে৷ এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা-অধিকর্তা ডা. সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই বক্তব্য মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডা. শিখা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ জানালেন, শেষ পাতে মিষ্টিমুখ হলে মনটা ভাল হয়ে যায়৷ তাই চাটনি-পায়েসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement