স্টাফ রিপোর্টার: রাত পেরোলেই জন্মদিন৷ কে তাঁকে উপহার দেবে? কীই বা দেবে?
জীবনের সেরা উপহারটা নিজেই নিজেকে দিয়েছেন আগরতলার দীপা কর্মকার৷ প্রোদুনোভা ভল্টে ওলিম্পিকের মূলপর্বে এই প্রথম কোনও ভারতীয় কন্যা৷
কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে সেই খুশির রেশ মা গৌরী কর্মকারের মুখেও৷ আগরতলায় বসে বললেন, “খুব টেনশন করছিল ও৷ আগের দিন ফোন করেই বুঝেছিলাম৷’’ মা হয়ে মেয়েকে সাহস না জুগিয়ে থাকা যায়? “মেয়েকে বলেছি একদম টেনশন করো না৷ এতদিন যা শিখেছ সেটাই করবে৷ তারপর যা হওয়ার তাই হবে৷” হলও তাই, পেলের দেশে ‘চক দে ইন্ডিয়া’ দেখাল দীপা৷ ধনুকের মতো শরীরটা যখন শূন্যে উড়ছিল কে জানত এই পথেই ভারতের প্রথম জিমনাস্ট ঢুকে যাবে ফাইনালের মঞ্চে৷
Tomorrow is Dipa’s Birthday. If she gets a medal,that will be the biggest gift for her: Dulal Karmakar,Dipa’s father pic.twitter.com/w3uhLlCnth
— ANI (@ANI_news) August 8, 2016
পদক আনবে তো দীপা? বছর বাইশের মেয়ে এখন সারা ভারতের প্রার্থনায়৷ মন্দির, মসজিদ, গির্জায় দীপার জন্য পদক চাইছে সক্কলে৷ দীপার বাবা দুলাল কর্মকার বলছেন, “আমি খুবই আশাবাদী৷ ও টেনশনের মধ্যে বরাবরই ভাল ফল করে৷ আমার মেয়েটা দেশের জন্য পদক আনবেই৷” দীপার প্রথম কোচ সোমা নন্দী জানিয়েছেন, জীবনের ঝুঁকি থাকে এই ভল্টে৷ ডাবল সামারসল্টে কাধের উপর পুরো ভার এসে পড়ে এতে মৃত্যুও হতে পারে৷
রিও ওলিম্পিকে যখন ফাইনাল ভল্ট দিতে নামছেন দীপা, চোখ বন্ধ করে এক মুহূর্তে মনে হচ্ছিল যেন দিল্লির সেই স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার’ মাঠ৷ ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ চিৎকারে কান পাতা দায়৷ তেরঙ্গা পতাকায় দীপাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন দর্শকরা৷ ভল্টে ১৪.৮৫০ স্কোর করে দীপা যখন সোজা হয়ে দাঁড়ালেন স্কোরকার্ড বলছিল ভল্টে ব্যক্তিগতভাবে ষষ্ঠ স্হান তাঁর৷ সবমিলিয়ে ২৭ নম্বর স্হানে৷ তারপর পাঁচ ঘণ্টার রুশ্বাস অপেক্ষা৷ সেরা আটই যে কেবল যাবে ফাইনালে৷ ফাইনালে যেতেই আগরতলার বাড়িতে কোমর দুলিয়ে খানিক নেচেই নিলেন দুলাল কর্মকার৷ মেয়ের সাফল্যে বাধনহারা উচ্ছ্বাস দুলালবাবুর৷ “সব আনন্দ মুখে বলে বোঝানো যায় না৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.