Advertisement
Advertisement

নিদ্রাহীন রাত জাগছে আতঙ্কিত উত্তরাখণ্ড

ফের তিন বছর আগের দুঃস্বপ্ন চোখেমুখে নিয়ে রাত জাগছে প্রতিটি পাহাড়ি গ্রাম৷

Uttarakhand again fear of cloudburst
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 4, 2016 12:02 pm
  • Updated:July 4, 2016 12:02 pm  

জ্যোতির্ময় কর্মকার, পিথোরাগড়: ফের তিন বছর আগের দুঃস্বপ্ন চোখেমুখে নিয়ে রাত জাগছে উত্তরাখণ্ড৷ শনিবার গভীর রাতে তেহেরি জেলার ঘনসালিতে নতুন করে আছড়ে পড়ে ব্যাপক মেঘভাঙা বৃষ্টি৷ সকালের আলো ফুটতেই স্পষ্ট হয়েছে বিপর্যয়ের ব্যাপকতা৷ বহু জায়গায় ভেসে গিয়েছে জাতীয় সড়ক৷ রাস্তার উপর হুড়মুড়িয়ে নেমে এসেছে পাথর, কাদা, মাটি-সহ প্রায় আস্ত পাহাড়টাই৷ রবিবার সকাল থেকেও চলে একটানা বৃষ্টি৷ প্রশাসনের তরফে নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করে জানানো হয়েছে, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে প্রায় প্রতিটি নদীই৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খালি করে দেওয়া হয়েছে নদী উপত্যকা সংলগ্ন প্রতিটি পাহাড়ি গ্রাম৷

বন্ধ হয়ে গিয়েছে হৃষীকেশ থেকে বদ্রীনাথ যাওয়ার ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ অবরু চাম্বা-হৃষীকেশ ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়কও৷ সূত্রের খবর, এদিনের মেঘভাঙা বৃষ্টিতেও নতুন করে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের৷ বালগঙ্গা উপত্যকায় ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাড়ি৷ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় চারধাম যাত্রা৷

Advertisement

পরিজন হারানোর বুকফাটা কান্না যেন এখানকার প্রতি বছরের নিয়ম৷ সরকারিভাবে মাত্র ৩৮ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও, ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে নিখোঁজের তালিকা৷ অসমর্থিত সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই হতাহতের সংখ্যা প্রায় ৬০ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ শুধুমাত্র পিথোরাগড়েই মৃতের সংখ্যা ২৫৷ স্বাভাবিকভাবেই বিপর্যয়ের বিভীষিকায় কার্যত স্তব্ধ উত্তরাখণ্ড৷

যদিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি৷ ধস সরিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে আটকে পড়া রাস্তা৷ শুরু হয়েছে কেদারনাথ যাত্রাও৷ যদিও কোনওভাবেই আতঙ্কের রেশ কাটছে না পিথোরাগড়ের৷ এদিনও সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে রয়েছে হলদোয়ানি থেকে পিথোরাগড় যাওয়ার মূল জাতীয় সড়ক৷ ঘুরপথে পাহাড়ি গ্রামের রাস্তা ধরে যাতায়াত চললেও সেখানেও বহু জায়গাতেই দিনভর প্রবল বৃষ্টিতে মাঝে মাঝেই থমকে গিয়েছে যান চলাচল৷ যে কোনও বাঁকেই ধসের ভয়াবহ ছবি রীতিমতো চোখ সয়ে গিয়েছে৷

রবিবার বিকেলের দিকে লাগাতার বৃষ্টি থেকে কিছুটা স্বস্তি মিললেও সন্ধে নামতেই ফের মেঘে ঢাকা পড়ে কুমায়ুনের আকাশ৷ ঘর-গেরস্থালি ফেলে নদী সংলগ্ন পাহাড়ি গ্রামের অধিকাংশ মানুষই রাত কাটাচ্ছেন অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে৷ যে ভাবে প্রবল বৃষ্টি চলছে তাতে অনেকেরই মত, বছর দুয়েক আগেও ধ্বংসলীলা শুরু হওয়ার আগে ঠিক এভাবেই আকাশ ভেঙে পড়েছিল গাড়োয়ালে৷ তবে এবার কুমায়ুনও সন্ত্রস্ত৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement